শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ইউকে জমিয়ত সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শুয়াইব আহমদ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একজন নারীকে বিবস্ত্র করে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এসব পাশবিকতার সাথে যারা জড়িত, সেসব নরপশুকে গ্রেফতারপূর্বক দ্রুত কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
লন্ডনের স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেছেন, সিলেটের ধর্ষণের ঘটনার পর নোয়াখালীর নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণ করে বর্তমান সরকারের নিকট নারীর সম্মান ও ইজ্জতের কোনোই মূল্য ও নিরাপত্তা নেই এবং দেশে আইন-শৃঙ্খলা ও নাগরিক নিরাপত্তা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে। ঘরে-বাইরে কেউ আর নিরাপদ নেই। যে কেউ যে কোন সময় আক্রান্ত হতে পারেন।
তিনি বলেন, পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রায় সকল ঘটনার সাথে সরকারি দল বিশেষ করে ছাত্রলীগ জড়িত। সরকারি দলের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে এবং গডফাদারদের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় বেশির ভাগ ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে।
প্রিন্সিপাল মাওলানা শুয়াইব আহমদ আরো বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একজন নরীকে পাশবিক নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার রোমহর্ষক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এক মাস যাবত উক্ত নারীকে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে রাজি করাতে না পেরে এ বর্বর ও পাশবিক ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ধর্ষণকারীগণ প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর নির্যাতনের শিকার পরিবারটি মামলা করারও সাহস পায়নি। ধর্ষণকারীদের অব্যাহত হুমকিতে তারা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে ফেরারি জীবন-যাপনে বাধ্য হয়। দেশে আইনের শাসন ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এ ধরনের রোমহর্ষক ঘটনা ঘটেই চলছে।
জমিয়ত নেতা প্রিন্সিপাল শুয়াইব আহমদ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সিলেটের ঘটনাসহ সারা দেশে ধর্ষণ ও সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং নারী নিপীড়নের ঘটনার সাথে যেসব নরপশু জড়িত এবং যেসব গডফাদারদের আশ্রয় এরা অপকর্ম চালানোর সাহস পায়, অবিলম্বে তাদের সকলকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকার ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।