বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৫ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
সিলেটে শনিবার দফায় দফায় ভূমিকম্প হওয়ার পর একটি হেলে পড়া ভবন নিয়ে অনেকে আলোচনা শুরু করেছেন। বলা হচ্ছে, ভূমিকম্পের কারণেই ভবনটি হেলে পড়েছে। তবে এই দাবির স্বপক্ষে জোরালো কোন তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার সকাল থেকে সিলেটে অন্তত পাঁচবার মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এই ভূমিকম্পের উৎস ছিল সিলেটের জৈন্তা এলাকায়।
বাংলাদেশের একটি অঞ্চল থেকে ভূমিকম্প উৎপত্তি হবার নজিরবিহীন খবর বাংলাদেশের বহু মানুষকে উৎসুক করে তোলে। সিলেটে এ নিয়ে এক ধরনের আতঙ্কের পরিবেশও তৈরি হয়। এরই মধ্যে দ্বিতীয় দিনের মতো রবিবার সকালেও এক দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে সিলেটে।ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ভোর ৪টা ৩৫ মিনিটে সিলেট অঞ্চলে হওয়া এই ভূমিকম্পটিও ছিল মৃদু। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ২.৮।
রবিবার ঢাকার গণমাধ্যমগুলোতে খবর দিচ্ছিল ছোট ছোট এসব ধারাবাহিক ভূমিকম্পের কারণে ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে পনিটুলা এলাকায় আহাদ টাওয়ার নামে ছয় তলা এই ভবনটির এদিকে ভবনটির মালিকের একজন ঘনিষ্ট আত্মীয় বলেন, ভবনটি আগে থেকেই কিছুটা হেলে পড়া ছিল।
আশিকুর রহমান নামে এই ব্যক্তি ভবন মালিকের জামাতা। তিনি বলেন, শনিবার ভূমিকম্প হওয়ার পর স্থানীয় এক বাসিন্দা ভবনটির একটি ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। এর পর স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম সেটি নিয়ে খবর প্রকাশ করার পর তা আলোচনায় আসে। সবার মধ্যে ধারণা তৈরি হয় যে, ভূমিকম্পের কারণে ভবনটি হেলে পড়েছে।
এ নিয়ে আলোচনা তৈরি হলে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের একটি প্রতিনিধিদল গিয়ে ভবনটি পরিদর্শন করে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, তাদের একটি তদন্ত দল মেপে দেখেছে যে ভবনটি ইঞ্চিখানেক হেলে রয়েছে। তবে এটি শনিবারই হেলে পড়েছে নাকি আগে থেকেই হেলানো ছিল সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
আজিজুর রহমান বলেন, ভূমিকম্পের কারণে ভবনটি হেলে পড়ে থাকলে ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়ার কথা। কিন্তু সেরকম কোনো ফাটল তারা দেখতে পাননি।
আপাতত তারা ধারণা করছেন যে, ভবনটি নির্মাণ করার সময় হয়তো রাজমিস্ত্রিদের ত্রুটির কারণে সামান্য হেলে গিয়ে থাকতে পারে। তবে নির্মাণের সময় ভবন এমন হেলে পড়লে সেটি গ্রহণযোগ্য এবং এতে কোনো ঝুঁকি নেই বলেও উল্লেখ করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী। তবে পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তারা আরও তদন্ত চালাবেন বলে জানান।
সূত্র: বিবিসি বাংলা