শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
আবদুর রহমান জামী, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
গত ০৬ মে শুক্রবার “আওয়াজ সিলেট ২৪.কম”মে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের সিদখাই মসজিদের অর্থ ও জমি আত্মসাৎ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নিউজে বর্নিত এলাকার বিচারকমন্ডলি।
আমার সুরমা ডটকমে পাঠানো এক বিবৃতিতে শালিসি ব্যক্তিত্ব জনাব আব্দুল কাহার (সাবেক মেম্বার)বলেন; গতকালের প্রকাশিত সংবাদের বিষয়টি আমি জানি এবং খবরে বর্নিত শালিসি বৈঠকে আমি নিজেও উপস্থিত ছিলাম।বর্নিত বিষয়ে কোন আলাপ-ই-আসেনি।এবং এই খবরটি সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।এমন খবরের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সেদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসএম ছমরু মিয়া।তিনিও জানিয়েছেন, সংবাদটি সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন। যার কোন ভিত্তি নেই।এমন মিথ্যা খবরে এলাকায় অশান্তি দেখা দেবে,আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
উল্লেখিত দরগাপাশা ইউনিয়নে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের সিদখাই মসজিদের অর্থ ও জমি আত্মসাৎ সংক্রান্ত এমন খবর গতকাল ছাপা হওয়ার পরে উভয় পক্ষেই অশান্তি বিরাজ করছে।
এলাকার গণ্যমান্য সালিশি ব্যক্তিবর্গ ও দরগাপাশা ইউপি’র বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানগণসহ ৩২ গ্রামের বিশিষ্ট বিচারকমন্ডলীগণকে নিয়ে একাধিকবার বিচার সালিশ অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রতিবারই বিচার সালিশে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরকে মসজিদ কমিটি থেকে পদত্যাগ করার জন্য বিচারকগণ তাঁদের রায় ঘোষণা করেন কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি মসজিদের ক্যাশিয়ার মহমদ আলী, মসজিদের মোতাওয়াল্লী কদ্দুছ আলী, তাদের অনুসারী সমছু মিয়া, আফজল আলী, আমিরুল, আসাদ, জিয়াউল গংরা বারবার বিচারকগণের ঘোষিত রায়কে অমান্য করে গ্রামের মানুষকে নানান হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এলাকাবাসীর দেওয়া প্রথম রায় অমান্য করায় দ্বিতীয়বার এলাকাবাসীর কাছে জোর হাতে ক্ষমা চায় অভিযুক্ত ক্যাশিয়ার মাহমদ ও তাঁর অনুসারী সমছু মিয়া।ভবিষ্যতে তারা এমনটা করবে না বলে এলাকাবাসী বিচারগণের সাথে ওয়াদা করে এবং মসজিদের যাবতীয় হিসাব নিকাশ ও সকল দায় দায়িত্ব গ্রামের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানায় কিন্তু এর পরেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এখন পর্যন্ত নানা কলাকৌশলে জোরপূর্বকভাবে মসজিদের ক্যাশ ও মোতাওয়াল্লীর দায়িত্ব তারা দখল করে আছে। বিল ও মসজিদের কেনা বোরো জমি নিলাম না দিয়ে ঐ সিন্ডিকেট ভোগ করে আসছে। এমনকি গ্রামের লোকজন চাইলেও মাহমদ আলীর গং সিন্ডিকেটের জন্য জমি ও বিল নিলাম নিতে পারেন না। এসব কুকর্মের অসংখ্য প্রমাণ গ্রামবাসীর কাছে আছে।
বর্নিত খবরটি সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট ঘোষণা করেন বর্ণিত বিচারকগণ এবং অভিযোক্তরা এলাকাবাসির কাছে বিচারের জোর দাবি জানিয়েছেন।।