শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী গতকাল রোববার পালিত হয়েছে। দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের বিভক্ত নেতাকর্মীরা দুটি গ্রুপে শোকদিবসে আলোচনা সভা ও র্যালির আয়োজন করে।
রোববার দুপুরে এমপি বলয়ের উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শোক র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিলুপ্ত কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলয়ের নেতাকর্মীরা দিরাই বাজারের লঞ্চঘাট রোডের অফিসে সন্ধ্যায় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনাসভার আয়োজন করে।
এ সভায় বক্তাগণ অভিযোগ করেন, দিরাই-শাল্লার এমপি ড. জয়াসেন গুপ্তা বলয়ের র্যালিতে শ্যামারচরের গ্রেফতারকৃত রাজাকার ইমাম জলিলের ছেলে ও বিএনপির কিছু নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছে। তাদের প্রশ্ন, কেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের শোকর্যালিতে রাজাকারের ছেলে থাকবে? উপজেলা আওয়ামী লীগে কি নেতাকর্মীর অভাব হয়েছে? জামায়াত-বিএনপি জোটের লোকেরা কেন র্যালিতে?
বক্তাগণ এমপি ড. জয়া সেনগুপ্তাকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, আপনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের কুপ্ররোচনায় দলে বিভক্তি শুরু হয়েছে। দলের ভেতরে ভাঙ্গনের দায় আপনি এড়াতে পারেন না। আপনি চাইলেই ঐক্য ধরে রাখতে পারতেন। কিন্তু আপনি সেটি না করে দলের মধ্যে বিভক্তিকারীদের কথা চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করেছেন।
বক্তাগণ আরও বলেন, এই রেষারেষির ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে আমরা আমাদের দিরাইয়ের গৌরব, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মতিউর রহমানকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবো। জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তার পক্ষে দলীয় মনোনয়ন চাইবো। শোকসভায় বক্তাগণ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
দিরাই পৌরসভা যুবলীগ আয়োজিত শোকসভায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সারওয়ার আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সদ্যবিলুপ্ত কমিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট সোহেল আহমদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ মোশাররফ মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন কুমার রায়, কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ রায়হান মিয়া প্রমুখ।