বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
একাধিক চুরি-ডাকাতি ও একটি হত্যা মামলার আসামি আকবর হোসনেকে অবশেষে আটক করতে সক্ষম হয়েছে দিরাই থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হওয়ার পর উত্তম-মধ্যম দিয়ে হাসপাতালে পাঠায় লোকজন। খবর পেয়ে দিরাই থানার এস মোঃ রাজু মিয়ার নেতৃত্বে তাকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দিরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে খবর পেয়ে থানা পুলিশ দিরাই সরকারি হাসপাতাল থেকে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের টুকদিরাই গ্রামের কিনাই উল্লাহর ছেলে আকবর হোসেনকে (৩৫) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে দিরাই থানারোডস্থ ফিজা এন্ড কোংয়ে ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সে সঙ্গে অন্য ডাকাতদেরও নাম প্রকাশ করে বলে জানা গেছে। ফিজা ডাকাতির ঘটনায় মুখতার হোসেন চৌধুরী বাদি হয়ে হয়ে গত জুন মাসের ১৯ তারিখ একটি মামলা (০৯) দায়ের করে।
মামলার তদন্তকারী এসআই রাজু জানান, ফিজায় ডাকাতির সঙ্গে জড়িত এ পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হল উপজেলার রাড়ইল গ্রামের মজর উদ্দিনের ছেলে বর্তমান মজলিসপুরের পুকুরপাড়ের বাসিন্দা ছমির উদ্দিন (৩৫), দিরাই পৌরসভার ভরারগাঁও গ্রামের মৃত ওয়াকিব উল্লাহর ছেলে রহিবুর (৪০), আসাদ মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (৩০), মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে একরাম হোসেন (২৭)।
বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, ডাকাত আকবর হোসেন শুক্রবার রাতে দিরাই সরকারি হাসপাতাল এলাকায় ডাকাতিতে গেলে টের পেয়ে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে ২০১১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাতে দিরাই লঞ্চঘাট রোডস্থ টিনের দোকান সিরাজ ট্রেডার্সের ভেতরে ম্যানেজার ফজলুল হকের (২৮) গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। পরে জানা যায়, ডাকাতিতে বাধা দিতে গিয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় সে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মোঃ নঈম উল্লাহ বাদি হয়ে দিরাই থানায় ৯ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি পরবর্তী হত্যা মামলা দায়ের হয়। মামলা নং-০৯। পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে আকবর হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ডাকাতি ও হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।