শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার : দিরাইয়ে অপহরণের পর স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে ২ জনকে। নিহতের পরিবার ও দিরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের নাচনি চণ্ডিপুর গ্রামের শাহজাহান ও মনোয়ারা বেগমের মেয়ে দিরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার নবম শ্রেণির ছাত্রী মোছাঃ তানিয়া বেগমকে (১৫) গত ৩০ জুলাই একই গ্রামের মৃত ইমান আলীর ৩ ছেলে নাঈম আহমদ, মুরাদ আহমদ ও আনিছ আহমদ মিলে বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে আসার পথে অপহরণ করে। এ ঘটনার পর মেয়ের পিতা বাদি হয়ে দিরাই থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
নিহতের আপন চাচা মোশাররফ মিয়া জানান, ঘটনার পর থেকেই আসামীগণের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও কথাবার্তায় আমাদের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে বিভিন্নভাবে তানিয়া অপহরণ ও হত্যার বিষয়টি আমাদের কানে আসলে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে, তানিয়ার লাশ কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার চামড়া বন্দরের একটি বালুর মাঠে পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে আমরা লাশ শনাক্ত করি এবং গতকাল (সোমবার) বাড়িতে নিয়ে আসি। তিনি আরো জানান, অপহরণের পর থেকেই আসামীদের অনেকেই বাড়ি থেকে পলায়ন করে আত্মগোপনে চলে যাচ্ছে দেখে আমাদের সন্দেহ বেড়ে যায়।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বায়েছ আলম জানান, নিহত তানিয়ার পরিবারের লোকজন তাকে থানায় নিয়ে আসে, এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো নাচনি চণ্ডিপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে নজরুল ইসলাম ও সিরাজ মিয়া ছেলে রফিকুল ইসলাম। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য গতকাল (মঙ্গলবার) সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে মেধাবী ছাত্রী তানিয়া হত্যার খবর পেয়ে তারই বিদ্যালয়ের সহপাঠীরা তাকে শেষবেলায় একনজর দেখতে থানায় ভিড় করে। পরে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও ছাত্রীরা খুনিদের ফাঁসির দাবিতে দিরাইয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবি করেন।