বৃহস্পতিবার, ০৩ Jul ২০২৫, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
সমাজ ও রাষ্ট্রের দুষ্টচক্রকে নির্মূল করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা জমিয়তের প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তের হেভিওয়েট প্রার্থী হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ দিরাই পৌরসভার বাজেট পেশ সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় মাদকের চালান আটক দিরাইয়ের সেনা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৪, গুলিতে নিহত নিরীহ আবু সাইদ হেফাজতে ইসলাম মিডল‍্যান্ডস শাখা গঠন: সভাপতি মাওলানা এখলাছুর রহমান, সেক্রেটারী মাওলানা এনামুল হাসান সাবীর হত্যার হুমকির শিকার শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাব সদস্য, থানায় জিডি দিরাই-শাল্লার উন্নয়নে ড. শোয়াইব আহমদকে জয়যুক্ত করতে হবে: মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী আল-হক্ব ফুযালা পরিষদের নতুন কমিটি গঠন

দুই হাজার সন্তানের মা!

আবু রাইয়ান: প্রায় দুই বছর আগের কথা। চাকরির প্রয়োজনে গ্রীস ভ্রমণে যান লিসা ক্যাম্পবেল নামে এক নারী। গ্রীসের বন্যাকবলিত একটি এলাকার শরণার্থীদের নিয়ে তার কাজ। সেখানে পা রাখার পর থেকেই কেন জানি মানুষগুলোর প্রতি তার ভালোবাসা জন্মে। এই টানেই তিনি নিজের চাকরি বাদ দিয়ে শরণার্থী শিবিরে দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন। তাদের সঙ্গে নিজের দুঃখ কষ্টগুলো ভাগ করে নিয়েছেন। শেষমেশ যখন শরণার্থী ক্যাম্প ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন লিসা, তখন অনেকটা দুষ্টুমির ছলে তার স্বামী তাকে বলেন, ‘বাড়ি গিয়ে কী কাজ করবে? ক্যাম্পে তো তুমি দুই হাজারের বেশি সন্তানের মা হিসেবে ছিলে।’

বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ক্যাম্পে ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতি রোমন্থন করেছেন লিসা ক্যাম্পবেল। শুরুর দিকে বেশ আনন্দে কাটে তার। তবে মাঝেমধ্যে মানুষগুলোর কষ্টে ব্যথিত হতেন লিসা। এক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন নৌকায় করে উপচে পড়া মানুষ ক্যাম্পের দিকে আসছে। মনে হয় এই বুঝি ডুবে যাবে এটি।

প্রথম মাস যাওয়ার পর লিসা একজন ডোনার পেয়ে যান। এরপর তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন এবং আরো ভালো করে মন দেন শরণার্থী শিবিরে। দিন যত যায়, ততই ক্যাম্পের মানুষগুলোকে আপন মনে হয় লিসার। ‘আমার কাছে কাজটা মায়ের মতোই মনে হয়েছে। একজন মা যেভাবে তার সন্তানদের দেখভাল করে ঠিক এমনটা আমার সঙ্গেও হয়েছে।’

ক্যাম্প বন্ধ হওয়ার খবর শুনে অনেকেই আমার কাছে এসে ভিড় করেছে। তারা বলতে থাকে, ‘আপনি আমাদের মায়ের মতো। আপনি কোথাও যাবেন না। আপনাকে ছাড়া আমরা থাকতে পারব না।’ তখনই আমি ভাবলাম, ‘আমার লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। আসলে তাদের সঙ্গে কাটানোর সময়টা আমি কোনোদিন ভুলতে পারব না।’ যাবার বেলায় আরেকটা স্মৃতি আমাকে বেশ আবেগময় করে তোলে। ‘মুস্তফা নামের ছোট্ট একটি শিশু আমি চলে যাবো এই খবর শুনে আমার সাথে ক্যাম্প ছাড়ার জন্য হইচই শুরু করে দেয়। আমি তাকে বুকে জড়িয়ে বিদায় জানিয়েছি।’

আমি জানি, ডিসেম্বরের ২২ তারিখ আমার ভিসার মেয়াদ শেষ। তাই যে করে হোক আমাকে গ্রীস ছাড়তে হবে। মায়ার জালটা আর বিস্তৃত করতে পারলাম না। অসাধারণ কিছু মানুষের সঙ্গে সময় কাটল আমার। যাদের কাছ থেকে আমি গভীর ভালোবাসা পেয়েছি। সম্মান পেয়েছি। আতিথেয়তারও কমতি ছিল না। অবশেষে তাদের সাথে প্রায় ১৮ মাসের মধুর সম্পর্কের ইতি টানতে হলো আমাকে। অবশ্য গ্রীস সরকার যদি ক্যাম্পটা বন্ধ না করতো, হয়তো আমিও আরও কিছুদিন থাকার চেষ্টা করতাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com