বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। শেষবারের মতো জন্মভূমি ভারতে ফিরলেন শ্রীদেবী। তবে জীবিত অবস্থায় নয়। বলিউডের ‘চাঁদনি’ ফিরলেন কফিনবন্দি হয়ে। এ শহর আর কখনও পাবে না তার পদস্পর্শ। তার চোখের চমক আর মিষ্টি কণ্ঠস্বর থেকে চিরতরে বঞ্চিত হবে আপামর জনতা। এ সময় বিমানবন্দরে ছিলেন অনিল কাপূর, সস্ত্রীক অনিল অম্বানী। বনি কাপূরের সঙ্গে ছিলেন অর্জুন োপূর এবং সঞ্জয় কাপূর। বিমানবন্দরের বাইরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে মুম্বাই পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বিশেষ চার্টার্ড বিমানে মুম্বই বিমানবন্দরে পৌঁছেছে তার দেহ। রাত ১০টা নাগাদ বিমানবন্দর থেকে তার দেহ বের করা হয় এবং বাসভবনে পৌঁছায় পনে এগারোটায়। শেষবারের মতো যেন সকলকে বিদায় জানাতে পৌঁছালেন ‘রূপ কি রানি‘।
গ্রিন করিডরের মাধ্যমে ‘ভাগ্য’ বাংলোর উদ্দেশে রওনা হয় অ্যাম্বুল্যান্স। শ্রীদেবীর পছন্দের সাদা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা বাংলো। রাতভর এখানেই রাখা থাকবে শ্রীদেবার দেহ। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার তাকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন অনুরাগীরা। মুম্বাই পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে ঠিক হয়, বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে বের করা হবে তার দেহ। কিন্তু ৮ নম্বর গেটের বাইরে প্রচুর ভিড় জমে যায় অনুরাগীদের। সে কারণেই সিদ্ধান্ত বদলে পুলিশ বিমানবন্দরের পিছনের অন্য একটি গেট দিয়ে তার দেহ বের করে। তবে পরিবারের অন্যান্য লোকেরা এই ৮ নম্বর গেট দিয়েই বের হন।
তার আকস্মিক মৃত্যুটা যতটা চমকে দিয়েছিল সকলকে, ততটাই ঘটনাবহুল ছিল তাঁর মৃত্যু পরবর্তী কার্যকলাপ। শ্রীদেবীর মৃত্যুরহস্যে গত তিন দিনে নানা মোড় নিয়েছে। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছিল, মদ্যপ অবস্থায় জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর। তবে পরে জানা গিয়েছিল অভিনেত্রীর মাথায় গভীর ক্ষতচিহ্নেরও সন্ধান মিলেছে।
ফলে মৃত্যু না হত্যা, সে ধন্ধ ফের জেগে উঠেছিল। পাসপোর্ট আটক করা হয়েছিল অভিনেত্রীর স্বামী বনি কাপুরের। তৃতীয়বারের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছিল সিসিটিভি ফুটেজও। এই নিয়ে জটিলতা ক্রমশ বাড়ছিল। পুনরায় চলে তদন্ত। প্রয়াত হওয়ার প্রায় ৬০ ঘণ্টা পর কাটে জটিলতা। তদন্ত শেষ করে শ্রীদেবীর মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দুবাই প্রশাসন ও পুলিশ। অনেক কাঠখর পুড়িয়ে তবে শ্রীদেবীর মরদেহ দেশে ফেরাতে পারল তার পরিবার। আম্বানির চাটার্ড বিমানে আনা হয় মরদেহ।