বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক (ছাতক) সুনামগঞ্জ: ছাতকে রাতগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে এক লিখিত অভিযোগে দেয়া হয়েছে। এতে দু’জনকে এখান থেকে অন্যত্র বদলীর আবেদন করা হয়। ছাতক সদর ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম, সদস্যা আফিয়া বেগম, সহ-সভাপতি রইছ উদ্দিন, পিটিএ সভাপতি আসাদুজ্জামান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, অলিউল ইসলাম, মোসা. অনামিকাসহ অভিবাবকদের গত ৬মার্চ দেয়া অভিযোগে বলা হয়, সহকারি শিক্ষিকা সাহেদা বেগম পদোন্নতির তালিকায় থাকায় চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন চৌধুরিকে অন্যত্র সরিয়ে নিজে প্রধান শিক্ষকের পদ নেয়ার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন। বিদ্যালয়ের পাশে সাহেদা বেগমের বসত বাড়ি থাকায় প্রধান শিক্ষককে নানা অজুহাতে অন্যত্র সরিয়ে নিজেই এ পদে আসীন হওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এজন্যে তিনি প্রধান শিক্ষক ও এলাকাবাসির সাথে অশালিন আচরণ করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করে যাচ্ছে। অবশেষে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ শিক্ষক ও অভিবাবকদেরকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ার জন্যে অপচেষ্ঠা চালান। এতে ব্যর্থ হয়ে নিজেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৫ মার্চ উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান সরকার সরেজমিন তদন্তে আসেন। এ সময় পরিচালনা কমিটি, অভিবাবক ও এলাকাবাসির উপস্থিতিতে সাহেদা বেগম বক্তব্য দেয়ার একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পায়ের জুতা খুলে তদন্ত কর্মকর্তাসহ লোকজনের প্রতি তেড়ে আসেন। অভিযোগে আরো বলা হয়, সহকারি শিক্ষক দেবানন দেব ও শিক্ষিকা সাহেদা বেগমের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এদের অপকর্মে স্কুলে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে মর্মে দেবানন দেব ও সাহেদা বেগমকে অন্যত্র বদলীর জন্যে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।