শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৯ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
দিরাইয়ে ট্রিপল মার্ডারের চার্জশীটের বিরুদ্ধে বাদী একরার হোসেনের নারাজি

দিরাইয়ে ট্রিপল মার্ডারের চার্জশীটের বিরুদ্ধে বাদী একরার হোসেনের নারাজি

আমার সুরমা ডটকম ডেস্কদিরাই উপজেলায় জলমহালের দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন জেলে নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়েছেন মামলার বাদী। রোববার সুনামগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (দিরাই) এই নারাজি দেন মামলার বাদী একরার হোসেন। আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার বাদীর নারাজি আবেদন শুনানির জন্য আগামি ৩ মে দিন ধার্য করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মো. জহিরুল হক কবির গত ৪ এপ্রিল আদালতে ঐ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে মামলার ৩৯ আসামির মধ্যে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছেন তিনি। এই ১৪ জনের মধ্যে দিরাই পৌরসভার মেয়র ও দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোশারফ মিয়া, দিরাই উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় এবং সদ্য বিএনপি থেকে অাসা দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের নেতা হাফিজুর রহমানও আছেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, বাদী রাজনৈতিক কারণে মামলায় তাদের আসামি করেছেন। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।
বাদী তাঁর নারাজি আবেদনে অভিযোগপত্রে অব্যাহতির সুপারিশ করা সব আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার আবেদন করেছেন।
গত বছরের ১৭ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের পাশের জারলিয়া জলমহালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাতিয়া গ্রামের তাজুল ইসলাম, পার্শবর্তী আকিলনগর গ্রামের সাহারুল ইসলাম ও উজ্জ্বল মিয়া মারা যান। এরমধ্যে একজন ঘটনাস্থলে এবং দুইজন মারা যান হাসপাতালে নেওয়ার পর। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আরও ২২ জন।
এ ঘটনায় ১৯ জানুয়ারি দিরাই থানায় ৩৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন দিরাই উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য একরার হোসেন। ওই জলমহাল লুটপাটের অভিযোগে একই দিন একরার হোসেনসহ ২৯ জনকে আসামি করে থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন স্থানীয় দক্ষিণ নাগেরগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় রায়।
একরার হোসেনের দায়ের করা মামলায় মোশারফ মিয়া, প্রদীপ রায়, হাফিজুর রহমানসহ ৩৯জন আাসমি ছিলেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে দিরাই থানা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক মো. জহিরুল হক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জহিরুল হক অবশ্য বলেছেন, তিনি তদন্তে যা সত্য পেয়েছেন তাই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com