শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪১ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
সমাজের মানুষের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে এবার পূর্ণ জনসেবক হতে চান অঞ্জনা রায়। দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুুষের সুখ-দু:খের সাথি হিসেবে নিজেকে সম্পৃক্ত করে রেখেছেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে বিজয়ী হয়ে সাধারণ ও দু:খি মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চান তিনি। অঞ্জনা রায় সুুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চান্দপুর গ্রামের মনিন্দ্র রায়ের স্ত্রী।
অঞ্জনা রায়ের পরিবারের কাজের পাশাপাশি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সেবামূলক সংস্থায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি জানান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক-দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ২০১৪ সালের ২১-২৩ অক্টোবর ‘উইমেন লিডারশীপ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন কোর্স’ (নারীনেত্রী) প্রশিক্ষণটি সফলভাবে সম্পন্ন করি। এছাড়া একই সংস্থার উদ্যোগে ২০১৫ সালের ১৮-১৯ এপ্রিল ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯’ ও ২০১৮ সালের ৭-২০ এপ্রিল আনসার-ভিডিপির উদ্যোগে ‘ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং’ সফলতার সাথে সম্পন্ন করি। তাছাড়া ২০১৭ সালের ২১ জুলাই হতে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত জৈন্তিয়া ছিন্নমূল সংস্থার (জেছিস) কমিউনিটি এগ্রিকালচার ভলান্টিয়ার হিসেবে করিমপুর ইউনিয়নে মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং কৃষি বিষয়ক কাজ করি। একই ইউনিয়নে এ্যাসিস্ট্যান্স ফর ¯øাম ডুয়েলার্স (এএসডি) সৌহার্দ্য প্রোগ্রাম-২-এর আওতায় একতা ভলান্টিয়ার হিসেবে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করেছি।
রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণেই সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে আছি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সীমান্তিক-নতুনদিন সংস্থার গোল্ড স্টার মেম্বার হিসেবে করিমপুর ইউনিয়নে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবিকার দায়িত্ব পালন করছি। পাশাপাশি পরিবারের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে দেশের অন্যতম স্বনামধন্য বীমা প্রতিষ্ঠান পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের ফিল্ড অফিসার পদের সাথে সাথে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের কারণে স্বামীর কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দর্জির কাজ করে পরিবারের আর্থিক চাকা সচল রেখেছি।
অঞ্জনা রায় নির্বাচিত হলে ‘জনগণের সেবা, বিশেষত দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়, নারী নির্যাতন বন্ধ, বাল্যবিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধ, এলাকার উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ভ‚মিহীনদের ন্যায্য দাবী আদায় ও নারী-পুরুষের সমান মজুরী নিয়ে কাজ করাই হবে তার লক্ষ্য’।
নবম শ্রেণি পাস অঞ্জনা রায় ২ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তানের জননী। সন্তানদেরকে সমাজে ভালো মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে তার সংগ্রাম চলবে বলেও তিনি জানান।