বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেক্স: যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডি.সিতে মঙ্গলবার ‘নারী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী’ শিরোনামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বইটিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে বলে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়।
বইটির রচয়িতা বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষাবিদ রিচার্ড ও’ব্রাইয়েন বর্তমান বিশ্বের ১৮ জন সেরা নারী নেত্রীর তালিকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষভাবে উপস্থাপন করেছেন। বিশ্বের আরও ছয়জন শীর্ষ নেতৃবৃন্দর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও বইয়ের প্রচ্ছদে স্থান করে নিয়েছে। গ্রন্থকার বইটিতে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নেয়া বিভিন্ন সাহসী পদক্ষেপ, ঐতিহাসিক অর্জন, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার আদায়ের কঠিন সংগ্রাম, আত্মত্যাগ নানা বিষয় তুলে ধারার চেষ্টা করেছেন।
শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে লেখক বইয়ে লেখেন, ‘বাংলাদেশকে যখন দারিদ্রমুক্ত, ক্ষুধা মুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব তখন হয়ত আমি বলতে পারব যে আমি এখন গর্বিত।’ ওমেন্স ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ক্লাবে বইটির মোড়ক উন্মোচিত হয়। এ সময় বিদেশি কূটনীতিক, নারী নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘আরও স্থিতিশীল, আরও গণতান্ত্রিক ও কম সহিংসতা-পূর্ণ’ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মত্যাগের প্রশংসা করেন গ্রন্থাকার রিচার্ড ও’ব্রাইয়েন। বইয়ে তিনি লেখেন, তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আধুনিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনক ও দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তারা পরিবারের অন্যান্যরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেও শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহেনা ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন।
রিচার্ড বলেন, শেখ হাসিনা নির্বাচনী জালিয়াতি ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে রুখে দাঁড়াতে ১৯৮১ সালে নির্বাসন থেকে দেশে ফিরে এসেছিলেন। সেসময় তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এজন্য ৮০’র দশকে তাকে অনেক নির্যাতন, জুলুম সহ্য করা সহ গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হয়েছিল। লেখক আরও বলেন, তখনকার শাসনব্যবস্থায় নিপীড়িত হওয়া সত্ত্বেও শেখ হাসিনা এত শক্তিশালী ছিলেন যে ১৯৯০ সালে একটি অভ্যুত্থানে তখনকার শাসককে (জেনারেল এরশাদ) তার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ২০০৪ সালে ঢাকায় শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নিয়ে ভয়ঙ্কর হামলা করা হয়। যে হামলায় বহু লোক হতাহত হয়েছিল। সেই সঙ্গে ২০০৭ সালে তাকে আবারো গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগেই তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
রিচার্ড আরও বলেন, বর্তমানসহ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তিনবারের সরকারের সময়ে দেশকে অস্থিতিশীল ও সংহিংসতাপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা বারবার করা হয়ে হয়েছে। তবে এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন বেশকিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে। তারমধ্যে ১৯৯৭ সালে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি’, ল্যান্ডমাইন নিষিদ্ধকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন অন্যতম। রিচার্ড লেখেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র প্রচারণার জন্য শেখ হাসিনাকে তাঁর অসামান্য কর্মকাণ্ডের পুরষ্কার স্বরূপ ‘মাদার তেরে-সা অ্যাওয়ার্ড, ‘গান্ধী অ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত করা হয়েছে।