সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
মোঃ আবুল কালাম জাকারিয়া, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহ। লোডশেডিংয়ের ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম প্রতিনিয়ত লোডশেডিংয়ের কারণে হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ঘন ঘন বিদ্যুতের এ ভেলকিবাজিতে হাঁপিয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী হাজার হাজার মানুষ। এতে উপজেলার সর্বত্রই এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার করেছে মানুষ। ফলে যে কোনো মুহূর্তে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও এবং মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এ মাধ্যম থেকে আন্দোলনের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্নস্থানে প্রায় অর্ধশত অটো গ্যারেজ রয়েছে। বিশেষ করে অবৈধ ইজিবাইকের চার্জ করা হচ্ছে গ্রাহকের মিটারে আবাসিক বিল হিসাবে। প্রতিদিন রাতে শত শত অটো-চার্জের গ্যারেজ মালিকদের সাথে আতাত করে বেশ রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছেন কোন কোন বিদ্যুৎ গ্রাহক লোকজন। প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে ওই সব দালালদের কারনে। অবাধে দিনের পর দিন এসব এলাকায় বিদ্যুৎ চুরির ফলে প্রকৃত গ্রাহকরা বৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারে বঞ্চিত হচ্ছেন। গ্রাহকদের দাবি, দিনে ও রাতে অবৈধ সংযোগে বিদ্যুৎ চুরির কারণে লোডশেডিংয়ের মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি অবৈধ সংযোগে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো উচিৎ ভ্রাম্যমাণ আদালতের বলেও দাবী করছেন অনেকে। লোডশেডিং এর কারনে প্রতিনিয়ত সংবাদকর্মীরা সংবাদ পাঠাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এলাকার নানাবিধ সমস্যা, উন্নয়ন, সম্ভাবনা, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে আদান-প্রদান করতে পারছে না সংবাদ কর্মীরা। অতিরিক্ত গরমের কারণে দেখা দিচ্ছে সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ। সবচেয়ে বেশী সমস্যা হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুদের। চলমান সময়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও লেখাপড়া চরম আকারে বিঘ্নিত হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডায়রিয়া ও জ্বরের রোগীর ভির বাড়ছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ফলে ব্যবসা বাণিজ্যে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। অসহায় হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। কম্পিউটার ও ফটোস্ট্যাট ব্যবসায়ীরা পড়েছে চরম বিপাকে। উপজেলার নওয়াগাঁও বাজার ব্যবসায়ী মুহিম উদ্দিন বলেন,বারবার কারেন্ট আসা-যাওয়ায় আমার কম্পিউটার ও প্রিন্টার নষ্ট হয়ে অনেক খতি হয়েছে।এলাকাবাসীর দাবী, বিদ্যুৎতের সুষ্ট ব্যবহার ও অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধ করে দ্রুত লোডশেডিং এর অবসান ঘটানো হোক। জনপ্রতিনিধিদের কাছে আরও দাবী করেন অবিলম্ভে বিদ্যুৎতের নাকাল অবস্থা জামালগঞ্জবাসীকে মুক্ত করার। জামালগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন রিসিভট না করায় এ বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি।