শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া জানিয়েছেন পুনর্গঠন করে তার দল আন্দোলনে যাবে।শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, সরকার তার এজেন্সির লোক দিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখাচ্ছে বিএনপি ভেঙ্গে যাচ্ছে, দলের মধ্যে ঐক্য নেই। এগুলো ঠিক নয়। বিএনপি এখনও বাংলাদেশের জনপ্রিয় দল। আমরা অপেক্ষায় আছি, একটা অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে প্রমাণ করুক কারা জনপ্রিয়।তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই আন্দোলনে যাবো। বিভিন্ন মামলায় আমাদের নেতা-কর্মীকে আটক রাখা হয়েছে। আমরা দলকে রিঅর্গানাইজ (পুনর্গঠন) করে নিই, তারপরই আন্দোলনে যাবো। তবে সেই আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ। আমরা জ্বালাও-পোড়াও বিশ্বাস করি না। জ্বালাও-পোড়াও করেছে তারা, শাস্তি তাদের হওয়া উচিত।রাজনীতিকদের হানাহানি ভুলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এ দেশকে এগিয়ে নিতে হানাহানি ভুলে যেতে হবে।তিনি বলেন, রাজনীতিতে দল থাকবে, কিন্তু তাই বলে কি রাজনীতিকদের মধ্যে সম্পর্ক থাকবে না? বিএনপি শান্তি, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে।বিএনপি প্রধান বলেন, আমরা দেশে আইনের শাসন চাই, যেখানে সবাই ন্যায়বিচার পাবে। যে অপরাধ করেছে সে শাস্তি পাবে। যে অপরাধ করেনি সে শাস্তি পাবে না।সরকারের ওপর দোষারোপ করে করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেছেন, দেশের প্রশাসন থেকে বিচার বিভাগ সর্বস্তরেই চরম দলীয়করণ হয়েছে। এ কারণে মানুষ সরকারের উপর আর আস্থা রাখতে পারছে না।খালেদা জিয়া দাবি করেন, এবারের রমজানেই দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে গেছে। রাস্তাঘাটের অবস্থা খারাপ ছিল। এ কারণে মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারেনি, ঈদও স্বস্তিতে কাটাতে পারেনি।তিনি বলেন, পত্রিকা খুললেই গুম-খুন, ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনা চোখে পড়ে নিত্যদিন। যাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার কথা, নিরাপত্তা দেওয়ার কথা তারাই জনগণকে জিম্মি করে ফেলেছে।। তারা জনগণকে ধরে নিয়ে গিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। না আদায় করতে পারলে জেলে যেতে হয়। এ অবস্থা চলতে পারে না।শুভেচ্ছা বিনিময়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, সারোয়ারী রহমান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম।