বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:০১ অপরাহ্ন
আশরাফ আহমেদ, এম.সি কলেজ প্রতিনিধি: শতবর্ষের ঐতিহ্যে লালিত সিলেটের মুরারি চাঁদ কলেজ ক্যাম্পাসে সুরের গুঞ্জনায় বাসছে একদল মুরারিয়ান। গিটারিস্ট আলমের টিং-টং তালের সাথে স্বর মিলিয়ে আব্দুল করিমের “আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম” গানটি করছেন মুরারি চাঁদ ত্রিয়েটারেরর জনপ্রিয় নাট্যকর্মী ফয়সাল। আর তার সাথে একই সুরে তাল মেলাচ্ছেন সংগীত পাগল এহসানুল, মুন্না, শুভ, মন্জু, ইবরাজ, মৌতুসিরা। ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত ১২৪ একর জায়গার বিশাল এই সবুজ ক্যাম্পাসে প্রায়ই এমন মন মাতানো গানের আড্ডা চুখে পরে। ঢাবির (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) টি.এস.সি চত্তরের মতো এম.সি কলেজের এমন দৃশ্য সত্যিই সবাইকে মুগ্ধ তরে। তাইতো শহুরে গতিময় জীবনের অবিরাম পথচলা থেকে বেরিয়ে এসে একটুখানি প্রশান্তি খুজে পেতে লোকেরা দলে দলে ছুটে আসেন, প্রকৃতির মায়ামাখা সবুজ এই ক্যাম্পাসে। প্রিয় মানুষগুলোর সাথে মেতে উঠেন গান, আড্ডা আর সুরের গুঞ্জনায়। পাহাড়ি আকা-বাকা পথ, ঝোপ-ঝাড়, বিচিত্র সব বৃক্ষরাজি, পাখীদের কিচিরমিচিরের মন মাতানো স্বর, সুবিশাল পুকুরের পানির জ্বলকানি ক্যাম্পাসে আসা প্রকৃতি প্রেমিদের সর্বদাই মোহিত করে রাখে। এজন্যে সিলেট বিভাগের প্রথম সারিতে থাকা ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর প্রাণের এই ক্যাম্পাসে দর্শনার্তীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আর প্রকৃতির এই অপরুপ লিলাভূমি সবুজঘেরা মুরারি চাঁদকে তার রুপের জন্য অনেকেই একে প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ বলে অবহিত করেন।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বতর্মান প্রতিহিংসার রাজনীতির প্রভাবে প্রায়ই প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ বলে পরিচিত এম.সি কলেজটিকে বিভিন্ন অস্থিতিশীল অবস্থার সম্মুখীন হতে। এমনকি প্রতিহিংসার এই রাজনীতির স্বীকার হয়ে বার বার রুপসী এই ক্যাম্পাসকে সইতে হয়েছে অনেকে যাতনা। এম.সি ছাত্রাবাস পোরানোসহ সবুজ এই ক্যাম্পাসের অনেক বৃক্ষরাজীর উপরও বার বার আঘাত এসেছে। ধংস করে দেওয়া হয়েছে প্রকৃতির অনেক নয়নাবিরাম দৃশ্যকে। যে কারনে অনেকেই এখন আসতে চান না গীরিশ চন্দ্রের গৌরব গাথা এম.সি ক্যাম্পাসে। তাই প্রকৃতির এই সুনিপম রুপসী ক্যাম্পাসের সুন্দরর্যকে ধরে রাখার স্বার্থে কলেজ প্রশাসনকে এই বিষয়ে আরও বেশি নজরজারির তাগিদ দেন, মুরারি চাঁদ ক্যাম্পাসে আসা প্রকৃতি প্রেমিরা।