বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
মোঃ মানিক মিয়া, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় প্রেসব্রিফিং মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান। জেলা তথ্য অফিসার মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন এপিএ অপারেটর মো. শরীফ হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক সাইফ উল্লাহ, সাংবাদিক অঞ্জন পুরকায়স্থ, তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ, আব্দুল আহাদ, মো. ওয়ালী উল্লাহ সরকার, মো. শাহীন আলম, বাপ্পী বর্মন, জিয়াউর রহমান, আক্তারুজ্জামান, বাদল কৃষ্ণ দাস, নেহার দেবনাথ, জাকারিয়া, মো. নিজাম উদ্দিন চিশতি প্রমূখ। প্রেসব্রিফ্রিং’র সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ ব্রান্ডি বিষয়ক প্রচার কার্যক্রম বাস্তবায়নের আওতায় ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী ১০টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এরমধ্যে একটি বাড়ী একটি খামার, আশ্রয় প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা, নারী ক্ষমাতায়ন, সবার জন্য বিদ্যুৎ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী, কমিউনিটি ক্লিনিক, শিশু বিকাশ, বিনিযোগ বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষা।
একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের ৪০ হাজার ২১৪টি সমিতি ও উপকারভোগী কোটি ২২ লক্ষ এর মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে দারিদ্রের হার ৮ শতাংশ নামিয়ে আনাহবে। শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম সারাদেশে ১লা জানুয়ারী শিক্ষার্তীদের মাঝে বিনামূল্য ৬২ কোটি ৬৪ লাখ বই বিতরন করা হয় এবং ১ম শ্রেণী থেকে ডিগ্রী পর্যন্ত ১ কোটি ২২ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদান, ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে। নারী ক্ষমতায়ন কার্যক্রম দেশব্যাপী ১২ হাজার ৯৫৬টি পল্লী মাতৃকেন্দ্র, ২০ থেকে ৪০ বছরের নারীদের স্বাক্ষরতার হার শতভাগ ও সরকারী চাকুরীতে নারী ক্ষমতায়ন হার ২০২০ সালে হবে ২৫ শতাংশ। কমিউনিটি ক্লিনিক-গ্রামের সাধারন মানুষের জন্য প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি কমিউনিটি গড়ে তোলা হয়েছে। সারাদেশে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। প্রতি হাজারে শিশু মৃত্যুর হার ৪১ থেকে ৩৭ শতাংশ নিয়ে আসবে। আশ্রয় প্রকল্প ঘুণিঝড় ও নদীভাঙ্গনে সরকার ২০১৬ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৯ হাজার পরিবার, আশ্রয় প্রকল্প ২, যার মাধ্যমে ৩৩ হাজার পরিবার ও ৬৩০টি প্রকল্প গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ৩ লাখ বৃক্ষরোপন, ২২৭টি প্রকল্প গ্রামে জমি আছে ঘর নাই এতে প্রায় ৩ হাজার পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে ডিজিটাল কর্মসূচী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ ২০২১ সালে বাস্তবায়নের মূল উদ্দেশ্য তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আয়ের দেশ হবে, দেশে ৪ হাজার ৫২৭টি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার ও তথ্য সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। অনলাইনে ২শত ধরনের সেবা প্রধান করা হয়েছে। মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি, ইন্টারনেট গ্রাহক ৫ কোটি, ই-পেমেন্ট ও অনলাইন ব্যাকিং চালু করা হয়েছে। শিক্ষা-প্রাথমিক প্রাথমিক ২০১৭ সালে ভর্তি হয়েছে ২ কোটি ১৩ লক্ষ, মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক তথ্য প্রযুক্তি বিষয়টি বাধ্যতামূলক এবং ২০ হাজার ৫শতটির অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শ্রেণী কক্ষ করে দেওয়া হয়েছে। সরকার আগামী শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ট থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ২৩ লক্ষাদিক শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ভার্সনের ট্যাব দেওয়া হবে ঐ সকল শিক্ষার্থীদের ছাপানো বই দিতে হবেনা। ২০১৮ সালে নিরক্ষতা সম্পন্ন দুর করে শিক্ষার মান উন্নয়ন বৃদ্ধি করা হবে। খাদ্য ও পুষ্টি সরকার ২০১৩ সালে খাদ্য ঘাটতি পূরন করে স্বয়ংসম্পুন্নতা অর্জন করেছেন ২০২১ সালে দেশে ৮৫ শতাংশ মানুষ পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিত করা হবে।