সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১

তাহিরপুরের সীমান্তে ভারতীয় চোরাই কয়লা নামানোর প্রস্তুতি চলছে

aamarsurma.com

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ট্যাকেরঘাট স্কুল সংলগ্ন ১১৯৮ পিলার দিয়ে সীমান্ত বাহিনী বিজিবির চোখ ফাকিঁ দিয়ে সক্রিয় চোরাকারবারীচক্র প্রতিনিয়ত দেশের ভেতরে অবাদে নিয়ে আসছে ভারতীয় চোরাই কয়লা, মরণ নাশক মদ-গাজা হেরোইন, ইয়াবা ও নাসির বিড়িসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী।
অভিযোগ উঠেছে, ওই সীমান্তে অবাধে চোরাচালনান হলেও নেপথ্যে চালকের আসনে থেকে চোরাচালানিদের সহায়তা করছেন-২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন সুনামগঞ্জ বিজিবির তাহিরপুরের টেকেরঘাট কোম্পানীর বিজিবির সুবেদার অলক চন্দ্র সরকারসহ বিজিবির আরো কয়েকজন অসৎ সদস্য।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাহিরপুরের টেকেরঘাট সীমান্ত চোরাকারবারী চক্রটি ১১৯৮ পিলার দিয়ে দুই থেকে আড়াই হাজার বস্তা ভারতীয় চোরাই কয়লা নামানোর প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে। চক্রটি প্রায় দেড়/দুইহাজার শ্রমিককে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের গাড়বাড়িতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। ঐ সমস্ত চোরা কারবারী চক্রের কারণে সরকার প্রতিনিয়ত হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের সিরাজ মহালদারের ছেলে চিহিৃত চোরাকারবারী মুক্তার মহালদার, একই গ্রামের সফি মিস্ত্রির ছেলে বাবুল মিস্ত্রি ওরফে লেংরা বাবুল ও বড়ছড়া উত্তরপাড়া এলাকার ইসহাক মিয়া ও ফিরোজ মিয়া ও বালিয়াঘাটের রেজ্জাক মিয়ার নেতৃত্বে বিশাল সিন্ডিকেট চোরচক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এই সীমান্ত পয়েন্টটিকে কয়লাও মরণ নাশক ইয়াবা, গাজা পাচারের নিরাপদ রোড মনে করেই প্রতিদিন রাতের আধাঁরে শত শত শ্রমিক নিয়ে ট্যাকের ঘাটের ১১৯৮ পিলার দিয়ে ভারতের গাড়বাড়ি ব্রীজ্রের নীচে প্রবেশ করে ঐ সমস্ত অবৈধ কলয়া ও মরণ নাশক পণ্য দেশের ভেতরে নিয়ে আসলে ও দেখার যেন কেহ নেই। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ধারাবাহিক সংবাদ প্রচারিত হলেও দেশের ভেতরে ভারতীয় চোরাই কয়লা আসা বন্ধ হচ্ছে না কোনভাবেই। ফলে সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করে চক্রটি সীমান্ত বাহিনীর চোখ ফাকি দিয়ে আজ দুই থেকে আড়াই হাজার বস্তা ভারতীয় কয়লা দেশের ভেতরে আনার পায়তারা করছে । চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভারতীয় চোরাই কয়লা দেশের ভেতরে প্রবেশ করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
গত ২২ জানুয়ারী থেকে অবাদে সীমান্ত বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাকি দিয়ে চোরাকারবারীরা ভারত থেকে নির্বিঘেœ দেশের ভেতরে কয়লা আনতে অধিকাংশ সময় সক্ষম হলেও মাঝে মাঝে সীমান্ত বাহিনী বিজিবির সদস্যদের অভিযানে চোরাই কয়লা জব্দ করা হলেও চোরাকারবারীরা সব সময় রয়েছেন অধরা ধরাছোয়ার বাহিরে। ওদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় ওরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চক্রটি শুধু চোরাই কয়লাই নিয়ে আসেনি কয়লার পাশাপাশি মরণ নাশক ইয়াবা-গাজা-হেরোইনসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসছে বলে স্থানীয়দের এমন অভিযোগ রয়েছে। কয়লা দেশের ভেতরে এনে প্রতি বস্তা কয়লা আনুমানিক সাড়ে ৩শত টাকার বিক্রি হয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সীমান্ত এলাকার স্থানীয় জনসাধারন প্রভাবশালী চোরচক্রের ভয়ে কেহ মুখ খুলতে রাজি নন এমনকি তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে রীতিমতো শংঙ্কিত। সীমান্ত এলাকায় এমন অবৈধ পণ্যসামগ্রীসহ নিষিদ্ধ ভারতীয় মরণ নাশকদ্রব্য প্রবেশে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক অনাকাংঙ্খিত ঘটনা, এমনটাই মনে করেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে লাকমা গ্রামের চিহিৃত চোরা কারবারী মুক্তার মহালদারের কাছে কয়লা পাচারের বিষয়টি জানতে চাইলে সাংবাদিক জেনে লাইনটি কেটে দেন।
এ ব্যাপারে ট্যাকেঘাট বিজিবি.ক্যাম্পের সুবেদার অলক চন্দ্র সরকার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বললেন, ট্যাকের ঘাটের ১১৯৮ পিলার দিয়ে কেহ কিংবা কোন গোষ্ঠি চোরাই পথে সীমান্ত অতিক্রম করে কংরা কিংবা কোন ধরনের পণ্য দেশের ভেতরে নিয়ে আসার কোন সুযোগ নেই। তারপরে ও যদি কেহ এমন চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com