বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার (সুনামগঞ্জ):
সুনামগঞ্জ সদর আদালতের নন জি,আর ৩৩৬/২০১৮ইং মামলার ১নং আসামী দুচরিত্র লম্পট আফাজ উদ্দিন পাশের ঘরের এক গৃহবধূ চাঁনতেরার উপর কুদৃষ্টি পড়ে তার। সে বিভিন্ন সময় ঔ গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব ও শারীরিক নির্যাতনের কারণে আদালতে মামলা করলে লম্পট আফাজ উদ্দিন কারাবাস শেষে বড়ি ফিরে মামলার নিরীহ বাদিনীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তার অমানুষিক নির্যাতন ও হুমকির ভয়ে ঐ গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি ও পিতার াবড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। তারপরে ও ঐ লম্পট কর্তৃক অব্যাহত মোবাইল ফোনের হুমকি থাকার নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। আদালতে বিবিধ ১৬৩/২০১৮ দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। ৩৩৬/১৮ইং এবং বিবিধ ১৬৩/২০১৮ দুটি মামলার অন্যতম আসামী সুনামগঞ্জ মোহনপুর ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের পুত্র আফাজ উদ্দিন (৪২)। তার বিরুদ্ধে একই গ্রামের প্রতিবেশি লালন মিয়ার স্ত্রী চানঁতেরা খাতুন বার বার নির্যাতিত হয়ে আদালতে একাধিক মামলা দয়ের করেছেন। কিন্তু বার বার আইনের আশ্রয় নিয়ে ও আসামী কতৃক শারীরিক নির্যাতন থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না অসহায় চানতেরা খাতুন।
মামলাও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, চানতেরা খাতুন একজন সহজ সরল। তার স্বামীর সাথে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি থাকায় তার সন্তানদের নিয়ে চানঁতেরা রহমতপুর গ্রামে তার অভাবী পিতার সংসারে আশ্রয় নিয়ে খুব অনাহারে অর্ধ্যহারে দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু চানতেরা তার স্বামীর সাথে দূরত্ব বেড়ে যাওয়ায় নারীলোভী আফাজ উদ্দিনের কুদৃষ্টি পড়ে তার প্রতি। আফাজ উদ্দিন তার লালসার শিকার বানোনোর জন্য অসহায় এই নারীর প্রতি বারবার শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে এবং তাকে কুপ্রস্তাব দিলে সে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার উপর বার বার নেমে আসে শারীরিক নির্যাতনের স্ট্রীম রোলার।
জানাযায় গত ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর ঐ নারী নিরুপায় হয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, সুনামগঞ্জ সদর জোনে লম্পটকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। গত ২৮ জানুয়ারী ২০১৯ ইং সকালে প্রতিবেশী মফিজের বাড়ীতে ঐ বাদিনী চাউল আনতে গেলে সদ্য জামিনপ্রাপ্ত আফাজ উদ্দিন ও তার সহযোগি সন্ত্রাসীরা চাঁনতেরা খাতুনের পথ আটকে কারেন্টের তার দিয়ে বেদড়ক পিঠিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় হামলাকারীরা ঐ নারীর পড়নের শাড়ি টানা হেচড়া করে খুলে শ্লীলতাহানি ঘটায়। মহিলার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা ঐ মহিলাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এন ভর্তি করান। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে ঐ নারী পিতার াবড়ি গেলে আবারো শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন। কিন্তু তিনি নিরুপায় হয়ে আবারো আফাজ উদ্দিনকে প্রধান আসমী করে ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তিনি। পুলিশ গত কিছুদিন পূর্বে লম্পট আফাজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। কিছুদিন জেল খেটে আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আবারো বাদীনির উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় ঐ লম্পট ও তার সহযোগিরা। মামলা করার কারণে বার বার শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ঐ নারী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ধারাবাহিকতায় গত ২০ ফেব্রুয়ারী সকালে লম্পট আফাজ উদ্দিনের হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন চানতেরা খাতুন। বার বার শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে অসহায় ৪ সন্তানের জননী ঐ গরীব মহিলাকে।
এ ব্যাপারে চাঁনতেরা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, স্বামীর সাথে বনিবনা না থাকায় আমি ৪টি সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। পাশের বাড়ির লম্পট আফাজ উদ্দিন কিছুদিন পরপর আমার উপর শারীরিকনির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আদালতে মামলা দায়ের করেছি বলে আমাকে বার বার মারধর করা হচ্ছে। আফাজ উদ্দিনের ভয়ে আমি আমার বাবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছি। যেকোন সময় আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতে পারে ওরা।
এ ব্যপারে মোঃ আফাজ উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ঐ নারীর উপর বার বার হামলার কথা অস্বীকার করেন এবং এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের রাইন কেটে দেন।