শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ীর ইয়াবা সরবরাহকালীন সময়ে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড হওয়ায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ২টা ৫০ মিনিটে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কলাগাঁও এলাকার মুর্শিদ আলম সাদ্দাম নামে এক যুবক কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ী ও তাদের ইয়াবা সরবরাহকালীন সময়ে ধারণকৃত দুটি ভিডিও ফুটেজ তার নিজস্ব ফেসবুকে আইডিতে শেয়ার করেন।
ওই যুবক ভিডিও ফুটেজ নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে পোষ্টে ‘সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, কলাগাঁও বাজারের মানিক টেইলার ও তার সহযোগীদের রমরমা ইয়াবা ব্যবসা দেখার কেও নাই—-বাজার বণিক সমিতি সব জানার পরও কেন নিরব”? মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় দিকে বিস্তারিত জানতে উপজেলার সীমান্তবর্তী কলাগাঁও এলাকার মুর্শিদ আলম সাদ্দামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ১০ হতে ১২ দিন পুর্বে কলাগাঁও বাজারের মানিক টেইলার, কলাগাঁও পশ্চিমপাড়ের নুর জামালসহ ৪ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিপুল পরিমাণ ইয়াবা গণণা এবং সরবরাহকালে কে বা কারা গোপনে দুটি ভিডিও ফুটেজ ধারণ করেন। এরপর আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে একটি মেমোরিকার্ড ফেলে রেখে গেলে আমি এটি মোবাইলে সেট করে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দুটি ফুটেজ পাই। বিষয়টি কলাগাঁও বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে জানাই থানা পুলিশ ও আইন-শৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু নেতৃবৃন্দ নিরব থাকায় বৃহস্পতিবার আমার ফেসবৃক আইডি হতে ফুটেজগুলো শেয়ার করে দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার কলাগাঁও বাজারের মানিক টেইলারের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তার বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ ও ইয়াবা সরবরাহকালীন সময়ে ভিডিও ফুটেজে তার উপস্থিতি ও অবস্থান এবং অন্য সহযোগীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত নই, গোটা বিষয়টি ষড়যন্ত্র, কয়েকদিন পুর্বে একটি চক্র আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ইয়াবা গণণা ও সরবরাহের সময় গোপনে ভিডিও ধারণ করেছে, যে চক্রটি গত দেড়বছর ধরে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে আসছে এটি ওই চক্রেরই কাজ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে থানার ওসি মো. আতিকুর রহমানের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ এবং ওই ইয়াবা ব্যবসার সাথে কারা কারা জড়িত তাদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।