বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক:
একটি অনকাক্সিক্ষত ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে বিবৃতি দিয়েছেন সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সিরাজপুর (বাগগাঁও) গ্রামের আফছার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে ও দিরাই জামেয়ার মুহাদ্দিস মুফতি হোসাইন আহমদ সারোয়ার।
বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৪ জুন জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ‘মারকাযুল উলূম ফাতেমাতুয যাহরা রা. পঞ্চগ্রাম মহিলা মাদরাসা আমবাড়ি’ গিয়ে মাত্র কয়েক মিনিটের ভিডিও ও উক্ত মাদরাসার একজন শিক্ষকের বক্তব্য ধারণ করি। মাদরাসার শিক্ষক জানান, লকডাউনের শুরু থেকেই মাদরাসা বন্ধ রয়েছে। তবে এখন কয়েকদিন ধরে সীমিত পরিসরে ভর্তির কাজ চলছে। এ সময় অন্য একজন শিক্ষক বাঁধা দিলে সাথে সাথে তা বন্ধ করে যোহরের নামাযে চলে যাই এবং নামায শেষে অফিসে যেতে বললে আমি মাদরাসার অফিসে যাই।
কথাবার্তার এক পর্যায়ে মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুল মুছাব্বিরের ভাই এসে ও আরো লোকজন জড়ো করে আমার মোবাইল নিয়ে নেন। তিনি আমার সাথে যে খারাপ আচরণ করেছেন, তা বর্ণনাতীত। সাথে সাথে কিছু অনলাইন সাংবাদিক এনে বাধ্য করে আমার ছবি ধারণ করে এবং আমার বিরুদ্ধে একতরফা রিপোর্ট প্রকাশ করে। অথচ আমি ছাত্র-ছাত্রীবিহীন মাদরাসা ও একজন শিক্ষকের বক্তব্য ভিডিও ধারণ ছাড়া আর কিছুই করিনি।
বিবৃতিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, আজ থেকে ১০/১২ দিনে পূর্বে আমার পূর্ব পরিচিত বৃটেন প্রবাসি মাওলানা কামরুল হাসান আমার ইমুতে কতগুলি চাঁদাকৃত রশিদের পাতার ছবি তুলে দিয়ে বলেছেন যে, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ‘মারকাযুল উলূম ফাতেমাতুয যাহরা রা. পঞ্চগ্রাম মহিলা মাদরাসা আমবাড়ি’ প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুল মুছাব্বির বৃটেন এসে কি করছে এবং লকডাউনের সময়েও মাদরাসা খোলা রেখে চাঁদা কালেকশন করছে। শুধু তাই নয়, চাঁদা উঠানোর সময় সে লোকজনকে বলছে যে, বাংলাদেশের সকল মাদরাসা বন্ধ থাকলেও আমার মাদরাসা খোলাই আছে। বোর্ডিং যথারীতি খোলা এবং পরীক্ষাও হয়েছে। তাই আপনি সত্য রিপোর্ট মোবাইলে ধারণ করে আমার কাছে পাঠিয়ে দেন। সেই আলোকেই আমি ১৪ জুন মাদরাসায় যাই।
বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, মাওলানা কামরুল হাসান আমার ইমুতে ছবি পাঠানোর পর এও উল্লেখ করেছেন যে, এগুলি নাকি তিনি ও মাওলানা আব্দুল মুছাব্বিরের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা (যেমন শালা, শালী ও সমন্ধী) মিলে তার কাছ থেকে জব্দ করেছেন। মাদরাসার ভিডিও ধারণ ছাড়া আর একটার সাথেও জড়িত নই উল্লেখ করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সিরাজপুর (বাগগাঁও) গ্রামের আফছার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে ও দিরাই জামেয়ার মুহাদ্দিস মুফতি হোসাইন আহমদ সারোয়ার দাবী করেন, আমার বিরুদ্ধে যত রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে, তা সবই মিথ্যা। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
হোসাইন আহমদ সারোয়ার
২০-০৬-২০২০
প্রতিবেদকের বক্তব্য
গত ১৭ জুন ২০২০ তারিখে প্রকাশিত অনলাইন পত্রিকা ‘আমার সুরমা ডটকম’-এ “অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফাঁসলেন লন্ডন প্রবাসি আলিম”! সংবাদের সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ঘটনার সাথে জড়িত সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সিরাজপুর (বাগগাঁও) গ্রামের আফছার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে ও দিরাই জামেয়ার মুহাদ্দিস মুফতি হোসাইন আহমদ সারোয়ার। অথচ প্রতিবেদকের কাছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ মুফতি হোসাইন আহমদ সারোয়ারের লিখিত বক্তব্য, বক্তব্যের ভিডিও ও ইমু চ্যাটের কপি সরবরাহ করেছেন। এর আলোকেই সংবাদটি প্রস্তুত করা হয়েছে। সাথে সাথে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ মুফতি হোসাইন আহমদ সারোয়ারের দুটি মোবাইলও আটক করেছেন।
প্রকাশিত সংবাদে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোন কথা বা বক্তব্য নেই। প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে প্রমাণ ও নিরপেক্ষতার আলোকে।