বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
জৈন্তাপুরে উন্নয়ন কূপে নতুন গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স। সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির (এসসিএফসিএল) এই কূপে পরীক্ষামুলকভাবে ফ্লেয়ার লাইনে শিখা জ্বালানো শুরু হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে ফ্লেয়ার লাইনে সৌভাগ্য শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ.আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ। তিনি বলেন, সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির (এসসিএফসিএল) কূপে প্রাথমিক পরীক্ষামুলকভাবে ফ্লেয়ার লাইনে শিখা জ্বালানো শুরু। দৈনিক কি পরিমাণ উৎপাদন দেয়া সম্ভব হবে ডিএসটির পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।
জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্স গত বছরের ১ অক্টোবর এই কূপটির খনন কাজ শুরু করেছে। সে হিসেবে ৯৪ দিনের মাথায় ডিএসটি (ড্রিল ইস্টিম টেস্ট) করে দারুণ সফলতা দেখিয়েছে। ১৯৯৮ মিটার মাটির নিচে এই গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন যোগ্য কি-না সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারবে। তারা ভালো রিজার্ভের আশা করছেন। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য সাধারণ ৫ থেকে ৬’শ পিএসআই (প্রেসার স্কয়ার ইঞ্চি) প্রয়োজন হয়। কিন্তু শুরুতেই এর চেয়ে অনেক বেশি চাপ লক্ষ্যণীয়। যা উৎপাদনের জন্য খুবই শুভ লক্ষণ। দৈনিক কি পরিমাণ উৎপাদন দেয়া সম্ভব হবে ডিএসটির পর নিশ্চিত করে বলা যাবে। কূপটি সিলেট গ্যাস ফিল্ডের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য বিশেষ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। কূপটি থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে প্রসেস প্লান্ট বিদ্যমান। তাই এখান থেকে গ্যাস উত্তোলন করে পাইপ লাইনে নিতে বড় ধরনের কোনো বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়বে না। বিষয়টি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
সরকারি কোম্পানি বাপেক্স নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে স¤প্রতি অনেক সফলতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে। এই স্তরটিতে সিলেট-১, সিলেট-৩ ও সিলেট-৪ নম্বর কূপে ইতোপূর্বে অগ্নিকান্ডের মতো ঘটনা ঘটেছিল। সে দিক থেকে কোনো রকম দুর্ঘটনা ছাড়া ডিএসটি শুরু বড় মাইলফলক মনে করছে খনি বিশেষজ্ঞরা। কোম্পানির বেতন কাঠামো, যথাসময়ে প্রমোশন না হওয়াসহ অনেক বৈষম্য সংশ্লিষ্টদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে। যদিও সম্প্রতি অর্গানোগ্রাম ও বেতন কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়ার খবর পাওয়া গেছে।