আমার সুরমা ডটকম ডেক্স : নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বাম রাজনীতিবিদ বিদ্যা দেবী ভান্ডারী। ৫৪ বছরের বিদ্যা ভান্ডারী বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাম বরণ যাদবের স্থলাভিষিক্ত হবেন। বুধবার দেশটির সংসদ তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে। নারী অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা বিদ্যা ভাণ্ডারী নেপালের সংযুক্ত কমিউনিস্ট পার্টির (মাকার্সবাদী-লেনিনবাদী) নেতা। সংসদে তিনি ৩২৭ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পেয়েছেন ২১৪ ভোট। সম্প্রতি নেপালের সংযুক্ত কমিউনিস্ট পার্টির নেতা খাদগা প্রসাদ ওলি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। বিদ্যা ভান্ডারি দলটির দ্বিতীয় নেতা (ভাইস চেয়ারপারসন)।
২০০৮ সালে নেপালে রাজতন্ত্রের অবসানের পর তিনি হচ্ছেন দেশটির দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট। তার আগে রাম বরণ যাদব দেশটির প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাত বছর দায়িত্ব পালন করেন। বিদ্যা ভান্ডারী প্রয়াত কমিউনিস্ট নেতা মদন ভান্ডারীর স্ত্রী। মদন ভান্ডারীকে ভারতবিরোধী রাজনীতিক বলা হয়। ১৯৯৩ সালের মে মাসে রহস্যময় গাড়ি দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। গত ২০ সেপ্টেম্বর নেপালে নতুন সংবিধান কার্যকর হয। এ অনুযায়ী দেশটি হিন্দু রাষ্ট্র থেকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত হয়। নতুন সংবিধান কার্যকরের প্রেক্ষিতেই দেশটিতে আজ নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এছাড়া দেশটিতে নতুন করে ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, পার্লামেন্ট স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনও করতে হচ্ছে।
১৬ অক্টোবর প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে নেপালের মাওবাদী রাজনীতিবিদ ওনসারি ঘারতি মাগারকে নির্বাচিত করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। এর আগে নেপালের দ্বিতীয় সাংবিধানিক গণপরিষদের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৩৭ বছর বয়সী ওনসারি ঘারতি মাগার। প্রাক্তন মাওবাদী গেরিলা যোদ্ধা ঘারতি মাগার প্রায় এক দশক ধরে মাওবাদী বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিলেন যা ২০০৬ সালে শেষ হয়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেসও ঘারতির প্রার্থিতা সমর্থন করেছেন।