বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন
সাইফ উল্লাহ, হাওরাঞ্চল প্রতিনিধি: “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ,ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ভেস্তে যাচ্ছে। সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের বস্তায় চাল কম দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। জামালগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ডিলার দোকানে ডিলারদের দেয়া ১০ টাকা কেজির চালের বস্তা ওজন করলে প্রতি বস্তায় এক থেকে দেড় কেজি চাল কম পাওয়া গেছে। ডিলারদের কাছে চালের বস্তা পৌঁছার পূর্বেই উপজেলা খাদ্যগুদাম পরিদর্শনে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা চাল ওজন করলে গুদামের ভেতরই প্রতিবস্তায় এক থেকে দেড় কেজি চাল কম পাওয়ায় উপস্থিত খাদ্য পরিদর্শককে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে তিনি সদুত্তর না দিয়ে বলেন, খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএলএসডি) সুনামগঞ্জ আছেন, আপনারা তার সাথে কথা বলেন। সরেজমিন বিভিন্ন স্থানে ডিলারদের চাল বিতরণের বস্তায় ওজন দিয়ে চাল কম পাওয়া গেছে। সাচনাবাজার এলাকার রামনগর বাজারে, সাচনাবাজারে, ভীমখালির লালাবাজার ও কারেন্টের বাজার সদরের মন্নান ঘাটসহ প্রায় সব ক’টি স্থানেই বস্তায় চাল কম পাওয়া গেছে। কিছু কিছু এলাকার ভুক্তভোগীরা বস্তায় চাল কম থাকার কারণে চাল না নিয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যান। এছাড়া সাচনা বাজার ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব তালিকায় ১, ২, ৩নং ওয়ার্ডের হতদরিদ্রের তালিকায় বিত্তশালী, ব্যবসায়ী, সচ্ছল পরিবারের একাধিক নাম রয়েছে বলে জানা যায়। সাচনাবাজার ডিলারের আওতায় রামনগর এলাকার হতদরিদ্র ভোক্তভোগী আব্দুল হান্নান, লাল মিয়া, খোশনাহার, ইছব আলী, ললিতা বেগম, নেহারুন বেগমসহ উপস্থিত ভুক্তভোগীরা চাল কম দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। এ ব্যাপারে বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরে চাল না নিয়ে বাড়ি চলে যান। ঠিক একইভাবে উপজেলার সব ক’টি স্থানেই চাল কম দেয়ার বিষয়টি জানান ভোক্তারা। এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা অসীম কুমার তালুকদার বলেন, আমাদের মিটার (পরিমাপক যন্ত্র) এনালগ, তাই ডিজিটাল মিটারের সাথে মিলেনা কিছু কম থাকে। তবে এক থেকে দেড় কেজি ওজন কম কেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজা আক্তার দিপু বলেন, প্রথমই শুনেছি গুদাম থেকেই চাল কম প্যাকেট করা হচ্ছে। আমি চাল কম দেয়ার বিয়টি শুনে ইউএনও সাহেবকে বিষয়টি জানালে তিনি আমাকে ঘটনাস্থলে পাঠান। আমি লালবাজার ও কারেন্টের বাজার এলাকায় পরিদর্শন করে বস্তায় এক থেকে দেড় কেজি চাল কম পাই। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুনজর প্রত্যাশ করছি। জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা আহমেদ পলি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি, এ ব্যাপারে ফুড ইন্সপেক্টর ও ট্যাগ অফিসারদের নিয়ে আলোচনা করেছি। আগে যা হয়েছে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরবর্তীতে এমন অনিয়ম হতে দেবনা, যদি কেউ অনিয়ম করে আইন অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।