শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসীর সামনে তাঁর আগামী দিনের রাজনীতির ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করেছেন। তিনি বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর একক নির্বাহী ক্ষমতা সংসদীয় সরকারের আবরণে একটি ‘স্বৈরচারী একনায়কতান্ত্রিক’ শাসনের জন্ম দিয়েছে মন্তব্য করে বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে বিদ্যমান অবস্থার অবসানকল্পে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনা হবে। এ ছাড়াও ন্যায়পাল নিয়োগ, বেকার ভাতা প্রদান, গণভোট ব্যবস্থার পুনপ্রবর্তন, জীবনমুখী শিক্ষা নীবি প্রবর্তন, ফোর জি কভারেজ, গণমাধ্যম কর্মী নিবর্তনমূলক ৫৭ ধারা বাতিল, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ ২৫৬টি বিষয়ে আগামীতে কী করবেন সে পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। গতকাল রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েন্টিনে তিনি বিএনপির ‘ভিশন ২০৩০’ নামের রূপকল্প ঘোষণা করেন। দেশী বিদেশী শত শত সাংবাদিকের উপস্থিতিতে নিজের চিন্তাচেতনা তুলে ধরে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপির বিশ্বাস করে, জনগণ সব উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। যেসব বাধা জনগণের মেধা, শ্রম, উদ্যোগ ও উৎসাহকে দমিয়ে দেয়, সেগুলোকে দূর করে বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, আধুনিক ও মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে বিএনপি ‘ভিশন ২০৩০’ প্রণয়ন করেছে। তিনি আরো বলেন, সংবিধানের এককেন্দ্রিক চরিত্র অক্ষুন্ন রেখে বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থা সংস্কারের অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখা হবে। সংবিধানে গণভোটব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃস্থাপন করা হবে; জাতীয় সংসদকে সব জাতীয় কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা; জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার কাঙ্খিত লক্ষ্যে জাতির কাছে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ জন্য সুনীতি, সুশাসন ও সুসরকারের সমন্বয় ঘটাবে বিএনপি। দলটি রাজনৈতিক, সামাজিক বিভাজনের অবসান ঘটাতে চায়।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এছাড়াও ন্যায়পাল নিয়োগ, বেকার ভাতা প্রদান, গণভোট ব্যবস্থার পুনপ্রবর্তন, সার্টিফিকেটমুখির বদলে জীবনমুখী শিক্ষা নীতি প্রবর্তন, সংসদ কার্যকর, ফোর জি কভারেজ, গণমাধ্যম কর্মী নিবর্তনমূলক ৫৭ ধারা বাতিল, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শক্তির পুরুদ্ধার, জনগণ ‘ভোটের দিনে রাজা’ তথা ‘ওয়ান যেড ডেমোক্রেসীর’ বদলে জনগণের দৈনন্দিন চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব দেবে। শুধু তাই নয় শরতের আকাশের সাত রঙের বিচিত্র প্রভার মতো সকল মত পথের মানুষকে নিয়ে রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে দেশকে রংধনু জাতিতে পরিণত করবে।
৪১ পাতার বইয়ে এই ভিশন ২০৩০-এ খালেদা জিয়া ৩৭টি বিষয়ে ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনার কথা জানান। বিএনপি ঘোষিত এ রূপকল্প অর্জন করা কঠিন হলেও তা বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করেন খালেদা জিয়া। বলেন, আমরা আশা করি, এই ভিশন বাস্তবায়নে আমরা দেশবাসীর সক্রিয় সমর্থনের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানসমূহেরও সহযোগিতা পাব। দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিক এই ভিশন বাস্তবায়নে বিএনপিকে সক্রিয় সমর্থন দেবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি মানবিক মূল্যবোধ ও মানুষের মর্যাদায় বিশ্বাসী। অবশ্যই আইনের শাসনের নামে কোনো প্রকার কালা কানুন গ্রহণযোগ্য হবে না। বিএনপি সকল প্রকার কালা কানুন বাতিল করবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিএনপি নেত্রী বলেন, অধস্তন আদালতকে নির্বাহী বিভাগের আওতামুক্ত করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় স্থাপন করা হবে। দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও বিচারপ্রার্থীদের কাছে দায়বদ্ধ করার জন্য সমস্ত বিচার প্রশাসন ও বিচার প্রক্রিয়াকে পরিপূর্ণভাবে ইলেকট্রনিক/অনলাইন ব্যবস্থাপনায় রুপান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি। বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি এমন যে থানায় গেলে পুলিশ মামলা নেয় না। এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য দেশব্যাপী থানাগুলোতে অনলাইন পদ্ধতি ও মোবাইল টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে অভিযোগ দায়েরের সুযোগ সৃষ্টি করে ফৌজদারি বিচার প্রার্থীদের আইনগত নিরাপত্তা পাওয়ার সমঅধিকার পতিষ্ঠা করা হবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক যোগ্য বিচারক নিয়োগের মাধ্যমে মামলার জট কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও দ্রুত করতে জুরি ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করা হবে। গ্রাম আদালতকে সংস্কারের মাধ্যামে কার্যকর আদালতে রূপান্তর করা হবে। বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করা হবে।
বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কর্মকান্ড নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বাংলাদেশ পুলিশকে দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে নিরেপক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গিকার করে বেগম জিয়া বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর অনাকাঙ্খিত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হবে। পুলিশের ওপর বিচার বিভাগীয় তদারকির মাধ্যমে জবাবদিহি ও কল্যাণমূলক জনপ্রশাসন গড়ে তোলা হবে। নিম্ন পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের ৮ ঘন্টার বেশি দায়িত্ব পালনের জন্যর ওভার টাইম এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য ঝুঁকিভাতা, আবাসন সমস্যা সমাধান করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের সঠিক তালিকা করার ঘোষণা দিয়ে বেগম জিয়া বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের নামে দুর্নীতি হচ্ছে। ক্ষমতায় গেলে বিএনপি মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের সঠিক তালিকা করবে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের যে মুল্যায়ন করা হয় শহীদদের সেভাবে মুল্যায়ন করা হয় না দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে একটি সঠিক তালিকা প্রনয়ণ করবে এবং তাদের যথাযথ মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করবে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা বৃদ্ধি করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের ‘রাষ্ট্রের সম্মানিত নাগরিক’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
ভিশন কার্যকরের মাধ্যমে বিএনপি ২০৩০ সালে মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে চায়। এ সময়ের মধ্যে মাথাপিছু আয় ৫ হাজার মার্কিন ডলারে উন্নীত করা হবে। এজন্য বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ডাবল ডিজিটে উন্নীত করার সৃজনশীল ও বুদ্ধিদীপ্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষা খাতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ ভাগ ব্যয় করা হবে জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বলেন, এক দশকের মধ্যে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করা হবে। একটি পৃথক শিক্ষা চ্যানেল চালু করা হবে। স্নাতক ও সমপর্যায় পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে। বিএনপির শিক্ষানীতি হবে জীবনমুখী, ডিগ্রিমুখী নয়।
সময়ের প্রয়োজনে বিএনপি তথ্যা ও প্রযুক্তি খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে জানিয়ে খালেদা জিয়া দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দেন যে, এই খাতকে ভবিষ্যৎ খাতে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাতে পরিণত করা হবে। তিনি বলেন, আউট সোর্সিং এবং সফটওয়্যার খাতকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হবে। তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বিদেশ থেকে অর্জিত অর্থ দেশে আনার ক্ষেত্রে সকল প্রকার অযৌক্তিক বাধা দূর করা হবে। ফ্রিল্যান্সার ও আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত সকলকে সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে স্বল্প চার্জে গেøাবাল পেমেন্ট গেটওয়ে সুবিধা দেওয়া হবে। তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ সহজসাধ্য করার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আইসিটি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ এবং দেশি-বিদেশি যৌথ উদ্যোগ নিশ্চিত করতে যথোপযুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা ও নানামুখী প্রণোদনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া আইসিটি শিল্পের জন্য মিউচুয়াল ফান্ড, সাশ্রয়ী মূল্যে সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট, সারাদেশে উচ্চ মূল্যের ফোর জি কাভারেজ, আইটি পার্ক, প্রত্যেক জেলায় স্মার্ট স্কুল প্রতিষ্ঠা, প্রতিটি জেলায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। সাংবাদিক নির্যাতনের লক্ষ্যে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি সুপ্রিম কোর্টের একজন সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, নাগরিক, আইটি বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করবে। কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সব ধরনের গণমাধ্যমের জন্য সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি সৎ সাংবাদিকতার পরিবেশ পুনরুদ্ধার করবে এবং চাঞ্চল্যকর সাগর-রুনি হত্যাসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার নিশ্চিত করবে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হবে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে না পারলে বেকারদের ভাতা দেওয়া হবে এমন ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, শিক্ষা জীবন সমাপ্তির পর কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষিত বেকারদের ভাতা দেওয়া হবে। যুব উদ্যোরক্তাদের বেশি বেশি করে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়নে প্রয়োজনীয় সমর্থন, স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ এবং কর-ছাড় দেওয়া হবে। বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্যর যুবসমাজকে যথাযথভাবে দক্ষ ও সক্ষম করে তোলা হবে।
প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে নেওয়ার জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, দেশের বিদ্যমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট নিরসন এবং দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি সমন্বিত জাতীয় জ্বালানি নীতি প্রণয়ন করা হবে। সেটা বাস্তবায়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ, প্রখ্যাত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। বিদেশী কূটনীতিকদের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পলিটিক্যাল, ট্রেড, প্রেস অ্যান্ড ইনফরমেশন মিনিস্টার কাউন্সিলর কোনস্টানটিনস ভারদাকিস, ব্রিটিশ হাইকমিশনের হেড অব পলিটিক্যাল সেকশন আদ্রিয়ান জনস, জার্মানের পলিটিক্যাল, কালচার অ্যান্ড প্রেস সেকশনের থার্ড সেক্রেটারি ক্রিস্টিয়ান জুরপ্যাল, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিক্যান সিটির সেকেন্ড সেক্রেটারি অ্যান্ড ডিএইচএম লুকা, মারাবেসে, তুরস্কের ডেপুটি হেড অব মিশন ওরহান আইর্যাক, চীনের পলিটিক্যাল সেকশনের থার্ড সেক্রেটারি লি জুআংইউ, রেডক্রসের বাংলাদেশ শাখার ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন বোরিস কেলেসেভিক, ডেনমার্কের ডেপুটি হেড অব মিশন জরুকোব হাউগ্যার্ড, সুইডেনের হেডভিগ সোদারলিন্ড, ইউএনডিপির প্রতিনিধি চ্যারলেস ডেনহেজ, ইন্দোনেশিয়ার ইনফরমেশন সোশ্যাল অ্যান্ড কালচার সেকেন্ড সেক্রেটারি ফিতরি টিজ্যানদ্রা প্রিজান্তি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, রুহুল আলম চৌধুরী, সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আবদুল মান্নান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, হারুন উর রশিদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। উপদেষ্টাদের মধ্যে আমান উল্লাহ আমান, আতাউর রহমান ঢালী, ড. সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক তাজমেরী ইসলাম, এ জেড মোহাম্মদ আলী, হাবিবুর রহমান হাবিব, জয়নাল আবেদীন ফারুক, আবুল খায়ের ভুইয়া ছাড়াও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, লেবার পার্টির মুস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।