রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
মোঃ আবুল কালাম জাকারিয়া: আজ বহুদিন যাবত একটি অভিযোগ আসছে। লিখতে অনুরোধ জানাচ্ছেন অনেক মাতা-পিতা। আজ আর না লিখে পারলাম না। অভিযোগটি হলো আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জিত অর্থায়নে বিভিন্ন প্রাইভেট মাদরাসা, কিন্টার গার্ডেনে ভর্তি করাই মানুষের মত মানুষ করতে। কিন্তু হচ্ছে কি কিছু শিক্ষক নামের জানোয়াররা তাদের বেতরাঘাতে করছে আহত, না হয় যৌন আচরন ইত্যাদি। যার ফলে বাচ্চারা ভয়ে আর পড়ালেখা করতে চাচ্ছেনা। উপরোক্ত কথাগুলো বলছিলেন নাম না প্রকাশের শর্তে একজন মহিলা। বেতরাঘাতের বিষয়ে আমরা সবাই জানি যে, বর্তমান সরকার কর্তৃক নিষদ্ধ, কিন্তু আমরা তা মানি কই, প্রশ্ন হলো কেন? পত্রিকার পাতা খুললেই দেখাযায় শিক্ষক কর্তৃক শিশু ধর্ষনের খবর। সুশিক্ষা আজ গেল কই? বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এ অভিযোগও রয়েছে যে, কম্পিউটার ক্লাসের নামে অর্থ নেয়া হচ্ছে কিন্তু ক্লাস হচ্ছেনা। আবার কোন প্রতিষ্ঠানে ক্লাস টাইমে শিক্ষক এফবিতে মত্ত্ব। সব মিলিয়ে অভিবাভকগণ রয়েছেন খুবই চিন্তিত। এহেনো পরিস্থিতে তারা যাবেন কোথায়? কেউ আবার জানিয়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানে না পড়িয়ে কাজ শিখানোই ভালো। আমরা তাদের আশ্বাস দিয়েছি প্রমাণসহ দিতে পারলে ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করব। আমরা ঝড়েপরা শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করতেছি। আজ থেকে আমাদের জামালগঞ্জ এ সমস্ত অভিযোগ প্রমাণসহ মিলাতে একদল সেচ্ছাসবক গ্রুপ কাজ করবে। তারা প্রশাসনকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সাথে সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে অনুরোধ আপনার শিক্ষককের শিক্ষকতা চালাতে ছাত্র-ছাত্রীর প্রয়োজন। তাই উপরোক্ত বিষয়ের প্রতি সু-নজরসহ বাচ্চাদের আগামি দিনের উজ্জল জীবনের চিন্তা করুন। প্রাইভেট মাদরাসা, কিন্টার গার্ডেন খুলে শুধু অর্থ উপার্জনের চিন্তায় মত্ত্ব থাকবেন না প্লিজ।