সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক (সুনামগঞ্জ): ছাতকে একটি হত্যা মামলার আসামিদের বাড়িঘর ভাংচুর, লুঠপাটসহ তাদেরকে গ্রাম ছাড়া করেছে মামলার বাদি পক্ষের লোকজন। গত ২১ আগস্ট সুনামগঞ্জ পুলিশ সূপার বরাবরে নোয়ারাই ইউপির মির্জাপুর গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা তোতা মিয়ার স্ত্রী কালাবি বেগম এ অভিযোগ করেন। গত ১৮ আগস্ট একই গ্রামের লিয়াকত আলীর বাড়ির রাস্তায় তার নেতৃত্বে কবির উদ্দিন, আনকার মিয়া, নূরুল আমিন, সুনা মিয়া, আরজদ আলী, আইনুল, ওয়ারিছ আলী, জহিরুল হক, নূরুল হক (ফকির), ছমির আলী, আল আমিন, রুপতার আলীসহ ১৩ ব্যক্তি তার উপর সন্ত্রাসী হামলা করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল তার আত্মীয় প্রতিবেশি রমজান আলীর বাড়ির পাশের পতিত জমিতে সালিশ বৈঠকে রমজান আলী ও লিয়াকত আলীর পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ওয়ারিছ আলীর ছেলে জসিম উদ্দিন নিহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে একটি মামলা (নং জিআর ১০০/২০১৬ ইং) দায়ের করেন। এ সংঘর্ষের ঘটনায় কালাবি ওরফে বতনী বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ ওয়ারিছ আলীসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় ভাংচুর ও লুঠপাটের মামলা (নং জিআর ১১৮/২০১৬ ইং) দায়ের করেন। পরে থানায় প্রভাব খাটিয়ে ৭ জনের নাম বাদ দিয়ে ২০ জনের নামে চার্জশীট দেয়া হয়।
এদিকে ওয়ারিছ আলীর মামলায় তাদের পক্ষের অনেকে পলাতক ও হাজতে থাকায় লিয়াকত আলীসহ তার সযোগিরা বেপরোয়া হয়ে আসামিদের যাবতীয় সম্পদে হরিলুঠ শুরু করে। তারা রমজান আলী, ইদন আলী, ইদ্রিছ আলী, মদরিছ আলী, নিজাম, মাইন উদ্দিনসহ অন্যান্যদের পাকা ও কাঁচা বসতঘর ভাংচুর, ধান, চাল, দরজা, জানালা, মালামাল, গাছপালা, টিউবওয়েল, চালের টিনসহ যাবতিয় মামলামাল লুঠ ও বসতঘর ভেঙ্গে সম্পূর্ণ ব্যবহার অনুপযোগি করে তোলা হয়। এছাড়া ইদন আলী ১৪ মাস কারাভোগের পর বেরিয়ে বাড়ি যাবার পথে লক্ষীবাউর বাজারে পৌছলে লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে তার উপর সন্ত্রাসী হামলা করলে ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা (নং নন এফআইআর ১০১/২০১৭ ইং দঃবিঃ ৩২৩/৫০৬) দায়ের করেন।
অন্যদিকে পুলিশ সূপারের কাছে দেয়া আবেদনে গত ১৮ সেপ্টেম্বর এসআই রাজেন্দ্র দাস ঘটনাস্থল সরেজমিন তদন্ত করেছেন। এখনও লিয়াকত আলীসহ তার সহযোগিদের ভয়ে অসংখ্য পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। তাদের মালিকানা কৃষি ভূমি ও বসতবাড়ি এখন সন্ত্রাসী লিয়াকতসহ অন্যান্যরা ভোগ করছে। তারা এখন গ্রামে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। ফলে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী কালাবি বেগম সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। এ ব্যাপারে এসআই রাজেন্দ্র দাস ফোনে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে রাতে থানায় চা-খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে ফোন কেটে দেন।