শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
কর্মবীর মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব লণ্ডনে অনুষ্ঠিত : সিংকাপনী ব্রাদার্সরা ছিলেন মুসলিম জাতির রাহবার পাকিস্তানের প্রখ্যাত স্কলার মাওলানা ফজলুর রহমান: ভৌগোলিকভাবে বিভক্ত হলেও আমাদের আদর্শে ভিন্নতা নেই ক্বায়িদে মিল্লাত মাওলানা ফজলুর রহমান ৭ দিনের সফরে বাংলাদেশে আগমন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আবাদ: আমনের বাম্পার ফলনের আশাবাদ কৃষকের মামদানির ভূমিধস বিজয়ে ধরাশায়ী ট্রাম্প চূড়ান্ত নিবন্ধন পেলো এনসিপিসহ তিন দল মন্তব্য প্রতিবেদন: বর্তমান সরকারের সংস্কারের অর্জন কতটুকু? ‘ক্লিন দিরাই’-এর আহ্বায়ক কমিটি গঠন আজ থেকে জাতীয় নির্বাচনের ক্যাম্পেইন শুরু, প্রথম টিজার প্রকাশ যাত্রীবাহী নাইট কোচ খাদে পড়ে আহত ১৬

জগদলে ৬ কোটি টাকার হাসপাতাল ভবন নেই চিকিৎক

মাহমুদুল হক স্বপন: ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে অত্যাধুনিক হাসপাতাল ভবন। ভবনটিতে রয়েছে চিকিৎসা সরঞ্জাম। হাওরের মানুষের চিকিৎসাসেবা প্রদানের সকল ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র চিকিৎসক সংকটের কারণে উদ্বোধনের পর থেকেই এখান থেকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা যায়নি। ফলে ভাটির জনপদ দিরাই উপজেলার ৪০টি গ্রামের মানুষ কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না। কর্তৃপক্ষে অবহেলায় ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দিরাই উপজেলার হাওরবেষ্টিত জগদল গ্রামে ৫ বছর আগে ওই ২০ শয্যা হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়। জনবল নিয়োগ না দিয়েই তড়িঘড়ি করে উদ্বোধন করা হয় হাসপাতালটি। প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করা হলেও এখনও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়নি। জানা যায়, হাওর এলাকায় বর্ষাকালে চারদিকে পানি থাকায় দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। সরাসরি সড়ক যোগাযোগ না থাকায় অনেক রোগীকে নৌকাযোগে উপজেলা সদরে গিয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে কষ্টকর হয়ে উঠে। রাতের বেলায় হাওর পাড়ি দিয়ে চিকিৎসাসেবা নেয়া অসম্ভব। এ অবস্থায় জগদল ইউনিয়ন ও আশপাশের ৪০টি গ্রামের লোকজনের কাছে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে তৎকালীন সরকারের আমলে জগদল ইউনিয়নে ২০ শয্যাবিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০০৬ সালে হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ করে ২০১৩ সালে ২৩ অক্টোবর এ হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের প্রধান ফটক ও স্টোর রুমসহ সব কক্ষেই তালা ঝুলছে। লোকবল না থাকায় হাসপাতালের ভবনটির অবস্থা করুন। ইটের পরতে পরতে জমেছে ময়লা। ভবন থেকে খসে পড়ছে পলেস্তরা। মরিচা গিলে খাচ্ছে লোহার গ্রিলগুলো। আবার দুর্বৃত্তদের থাবায় ভেঙে পড়েছে জানালার কাচ। ময়লা আবর্জনার স্তূপ জমেছে ভবনের চারপাশে। নষ্ট হচ্ছে ভবনের মূল্যবান আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি। নেই পানির ব্যবস্থা। ভবনের নিরাপত্তায় নেই কোনো নৈশপ্রহরী। সূত্র মতে, অত্যাধুনিক এ হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, অফিস সহকারী, ল্যাব অ্যাটেনডেন্টসহ ১৩টি পদ রয়েছে। উদ্বোধনের ৫ বছর অতিবাহিত হলেও কোনো পদে লোক নিয়োগ দেয়া হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com