শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার (সুনামগঞ্জ):
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে প্রভাবশালী কর্তৃক স্কুল শিক্ষিকাকে শারীরিক নির্যাতনের বিষয় শালিশ বৈঠকে সমাপ্ত হয়েছে। বৃহ¯পতিবার বিকাল ৫টায় উপজেলার বুড়মপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শেফা বেগমের সাথে ঘটনার বিষয়ে স্কুল হল রুমে দর্গাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মনির উদ্দীনের সভাপতিত্বে, শালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দর্গাপাশা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হাজী জালাল উদ্দীন, বাংলা বাজার বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল হামিদ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পফিসার মোঃ বজলুর রহমান, সহকারি শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল বারেক, আব্দুল মজিদ কলেজের প্রভাষক মোঃ নুর হোসেন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী এম জমিরুল ইসলাম মমতাজ, বুড়মপুর গ্রামের মুরুব্বী সুন্দর আলী, আব্দুল হেকিম, ধন মিয়া, আফরুজ আলী, উপজেলা প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ স¤পাদক মানিক লাল চক্রবর্তী, উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুমার তালুকদার, ধর্ম বিষয়ক স¤পাদক মাওলানা মামুনুল হক, জীবদারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদল চন্দ্র দাস, রতপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার চক্রবর্তী, মাষ্টার ফয়জুল হক, বেনু মজুমদার, শাহাদাৎ হোসেন, মানিক লালা ধর, জাকির হোসেন, রিন্টু কুমার দাস, জাহাঙ্গীর আলমসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৮ জুলাই বুধবার বিকাল ৪টায় উপজেলার বুড়মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা: শেফা বেগমের সাথে একই গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে আদর আলী সোহাগ তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম ভাই হায়দর আলী গংদের সাথে। এ ব্যাপারে স্কুল শিক্ষিকা শেফা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জুলাই দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় আদর আলী সোহাগ ও তার আতœীয় স্বজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ৬ মাস পূর্বে স্কুল শিক্ষিকা শেফা বেগমের পিতা মো: আব্দুন নুর আদর আলী সোহাগের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নেন। উক্ত টাকা হতে ৩৬ হাজার টাকা পরিশোধ করার পর বিবাদীকে শুধু ৪ হাজার টাকা দেওয়ার বাকী থাকে এবং বিবাদীর সাথে কথা যে, দুই একদিনের মধ্যে দেওয়া হবে। ঘটনার দুইদিন পূর্ব হতে বিবাদীগন রাস্তাঘাটে স্কুল শিক্ষিকার কাছে টাকা চায় ও স্কুল শিক্ষিকাকে মারধরের ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করে। সেই টাকার সূত্র ধরে বুধবার বিকাল ৪টার সময় আদর আলী সোহাগ গংরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে শেফা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে, তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে শেফা বেগমের মাথায় লাঠি দিয়ে বারি মারিয়া জখম করে। এ সময় আদর আলী সোহাগের সাথে থাকা অন্যান্যরা শেফা বেগমের চুলের মুঠি ও পড়নের কাপড় ধরে টানা হেছড়া করে শ্লীলতাহানী করে। এ সময় শেফা বেগমের শোরচিৎকার শুনে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে স্কুল শিক্ষিকাকে উদ্ধার করেন। এ ব্যাপারে স্কুল শিক্ষিকা শেফা নিজের জানমালের নিরাপত্তা ও নির্যাতন কারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তুমূলক শাস্তির দাবীতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।