বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেক্স:
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে বলা হয়- মসজিদের শহর। এই শহরের ওলিতে গলিতে মসজিদ বিদ্যমান। শুধু রাজধানী ঢাকা বললে ভুল হবে, পুরো বাংলাদেশেই সর্বত্র মসজিদ দৃশ্যমান। সর্বত্র মসজিদ দৃশ্যমান হওয়াটাই বাংলাদেশের একটি বিশেষ ঐতিহ্য বলা যায়।
আমরা জানি, যারা অখণ্ড ভারত প্রত্যাশী তাদের মানচিত্রের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্রটাও আছে। কথা আসতে পারে, তবে অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশে কিসের উপর আগে আঘাত আসতে পারে ? পাশের ভারতে অখণ্ড ভারতবাদীদের দিকে যদি তাকান, তারা কিসের উপর আঘাত দিয়েছিলো প্রথমে? উত্তর হবে নিঃসন্দেহে সেটা মসজিদের উপর। যারা বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে সেখানে রাম মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। আর তার জন্য প্রথমে যেটা করেছে তা হলো ইতিহাস বিকৃতি, ভুল ভাল দেখিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করা- অযোধ্যায় বাবরী মসজিদের যায়গায় নাকি আগে রামমন্দির ছিলো।
ভারতের অখণ্ড ভারতবাদী ষড়যন্ত্র যদি বাংলাদেশে আসে তবে নিঃসন্দেহে সেটাও হবে মসজিদের উপর দিয়েই। অর্থাৎ মসজিদের দেশ বাংলাদেশকে মন্দিরের দেশ প্রমাণ করা।
সম্প্রতি ভারতের বুদ্ধিতে বাংলাদেশ সরকার পর্যটন, রাস্তাঘাট বা ফ্লাইওভার যা করার নামেই মসজিদ ভাঙ্গুক (নৌ উপমন্ত্রী-সচিবের ভাষায় ‘এডজাস্ট’), কারণ কিন্তু সেটাই, অর্থাৎ মসজিদের দেশকে মন্দিরের দেশ বানানো। যেমন ধরুন-হাতিরঝিলের আগে ৫টা মসজিদ, ১টা মাদ্রাসা আর ১টা মন্দির ছিলো। সরকার ৫টা মসজিদ আর ১টা মাদ্রাসা ভেঙ্গে সেখানে শুধু ১টা মন্দির রাখলো। এখন ১০ বছর এই ইতিহাস কে মনে রাখবে, যে সেখানে আগে এতগুলো মসজিদ ছিলো। হঠাৎ দেখা গেলো হিন্দুরা হঠাৎ বলা শুরু করলো- হাতিরঝিল এলার আসল মালিক হিন্দুরা, প্রমাণ ! দেখুন, সেখানে কোন মসজিদ আছে ? কিন্তু মন্দির তো আছেই। তারমানে এখানে আগে হিন্দুদের বসতি ছিলো, হিন্দুদের উচ্ছেদ করে হাতিরঝিল বানিয়েছে। সো এই এলাকার মালিক হিন্দুরা।
বাংলাদেশের পাসপোর্টে কান্তজির মন্দিরের ছবি ব্যবহার করা, ভারতে বইমেলায় বাংলাদেশের স্টলের আকৃতি কান্তজির মন্দিরের আকৃতি দেয়া, পর্যটন এলাকায় মসজিদ ভেঙ্গে শুধু মন্দির রাখা সবই এক সুতোয় গাধা। মানে মসজিদ বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করে এটা লুকিয়ে মন্দির দিয়ে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করা, যা একটা সময় অখণ্ড ভারত প্রত্যাশীদের জন্য বড় ধরনের একটা দলিল হয়ে দাড়াবে নিশ্চিত।