শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
গ্রাম্য আদিপত্যকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে। গ্রামবাসি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের শরিফপুর গ্রামে সরকারি জায়গায় ঘর বানানোর মিমাংসিত বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আদিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে গ্রামের সেজু মিয়া ও বেলাল মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।
সেজু মিয়ার পক্ষের লোকজনের অভিযোগ, সকাল ১০টায় সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ চলে যায়। এরপর বেলাল মিয়ার পক্ষের লোকজন পুলিশের উপস্থিতিতেই ছাদ মিয়ার ইটসহ নৌকা নদীতে ডুবিয়ে দেয়।
আহতরা হলেন শরিফপুর গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৩৫), আব্দুন নূরের ছেলে আব্দুল আহাদ (৪৬), আবুল উল্লার ছেলে নজরুল মিয়া (৫৫), ইসহাক মিয়ার ছেলে মোশাহিদ মিয়া (৪০), সমুজ আলীর ছেলে শাহজাহান মিয়া (২৮), দিগেন্দ্র দাসের পুত্র নৃপেন্দ্র দাস (৬০), আব্দুল মতিনের ছেলে মিলন উদ্দিন (৬০) ও লিটন মিয়া (৩৪), জহুর মিয়ার ছেলে সৌরভ মিয়া (২৪), মিরাজ মিয়ার ছেলে জাহেদ মিয়া (২৩), আব্দুল ছমিরের ছেলে জুনেদ মিয়া (৩৪), ঢেরস মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (২০), মনাফ মিয়ার ছেলে আব্দুল মিয়া (৬০), কাহার মিয়ার স্ত্রী গুলনাহার বেগম (৬০), মহিম উদ্দিনের ছেলে চন্দন মিয়া (২২) ও রায়হান মিয়া (২০), আমজাদ আলীর স্ত্রী করফুন নেছা (৫০), আব্দুস সামাদের স্ত্রী ছারফুল নেছা (৩৭), মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী রোমানা আক্তার (২০), তারা মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৬০) ও তার ছেলে তকসির মিয়া (২৫), মুরশেদ মিয়ার ছেলে মিলাদ হোসেন (২০), সাইফুল মিয়ার ছেলে মোঃ সাজু মিয়া (২৪), নিরদ দাসের স্ত্রী শ্যামলী দাস (২৬)-সহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এরমধ্যে গুরুতর আহত শাহজাহান মিয়া (৩৫), আব্দুল আহাদ (৪৬), নজরুল মিয়া (৫৫), মোশাহিদ মিয়া (৪০), শাহজাহান মিয়া (২৮), রাসেল মিয়া (২০), গুলনাহার বেগম (৬০), চন্দন মিয়া (২২)-কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে দিরাই থানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।