সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে করোনাকালে সরকার কর্তৃক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলেও প্রশাসনকে অবগত না করে অনেকেই নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছেন কোচিং সেন্টার। ফলে ঝুঁকির মধ্যেই রয়েছে বাচ্ছারা। সচেতন অনেক অভিভাবক কোচিং বন্ধের ব্যাপারে চাপ দিলে উল্টো কোচিং পরিচালক তাদেরকে নানা ধরণের কথাবার্তা বলেছেন।
এ ধরণের একটি কোচিংয়ের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চরনারচর গ্রামের রসময় সূত্রধর (হরিধন)-এর পুত্র রনধীর সূত্রধর (রন) চরনারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হওয়ার সুবাধে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে তিনি গ্রামের ছাত্রদেরকে কোচিংয়ের নাম করে প্রাইভেট পড়ান। করোনাকালে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় তিনি ঘরের সামনের দরজা বন্ধ করে প্রতিদিন তিনি ২০/২৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে তিন ব্যাচে কোচিং করান। জনপ্রতি ছাত্রের কাছ থেকে তিনি ৫শত টাকা করে নেন। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিনি কোচিং করান বলে সচেতন অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রনধীর সূত্রধর কোচিং করানোর বিষয়টি স্বীকার করে জানান, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৮/১০ জন করে পড়াই। তাদের জনপ্রতি ৪/৫শত টাকা করে নেই। তবে করোনা আসার পর মার্চ-মে পর্যন্ত পড়াইনি। জুন থেকে পড়ানো শুরু করলে পানি চলে আসায় বন্থ করে দেই। তিনি আরও জানান, যেহেতু গ্রামে ভালো কোন শিক্ষিত লোক না থাকায় এবং বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় গ্রামের ছাত্রদেরকেই পড়াই। অভিভাবকরা নিজ উদ্যোগেই আমাকে পড়াতে বলেছেন।
গ্রামে কোচিং চলার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে ১নং ওয়ার্ড মেম্বার চিত্তরঞ্জন সূত্রধর জানান, গ্রামে কোচিং চলে জানি, তবে ৪/৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। মধ্যে ৩/৪ দিন পড়ানোর পর আবারও বন্ধ রয়েছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ি রনধীর সূত্রধর (রন) বড় বড় ৮/১০ ছাত্রদেরকে নিয়ে কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন।