রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের পল্লীতে আওয়ামী দোসরদের হামলায় দোকান ভাংচুর করে মালামাল লুট করায় দিরাই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের চাতলপাড় গ্রামে শনিবার দিবাগত রাত ১০টায়। জাতীয় জরুরী পরিষেবা ৯৯৯ ফোন পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গ্রামের মৃত ছফা মিয়ার ছেলে আতাউর রহমান (৫০) খরিদকৃত জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে একটি ঘর বানিয়ে মুদি ব্যবসা করে আসছিলেন। গ্রামের কিছু মামলা ও দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির আওয়ামী দোসর এখানে ব্যবসা করতে বার বার নিষেধ করে আসছে। প্রায় এক বছর আগে একই দোকানে আগুন ধরিয়ে সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয় চিহ্নিত এসব দাঙ্গাবাজরা। এ নিয়ে দিরাই থানায় মামলা দায়ের হলেও আওয়ামী দোসরদের চাপে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি। এরপর পুনরায় ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসলে গতকাল তারা গ্রামে একটি বৈঠক করে রাতেই সেই দোকান ভেঙ্গে ফেলে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর আতাউর রহমান বাদী হয়ে দিরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে মৃত জাহাঙ্গীর খানের ছেলে সুলেমান খান (৬০), মৃত ইমান আলীর ছেলে ইছুব আলী (৫০), তার ছেলে হৃদয় (২৫), আব্দুল আলীর ছেলে তারিফ আলী (৩৫) ও তাহিদ মিয়া (৩২), লোকমান খানের ছেলে নবাব খান (২৮), কাচা উল্লাহর ছেলে সিরাজুলসহ (৫০) অজ্ঞাত ১৫/১৬ জনকে আসামী করা হয়।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, বিবাদীরা দীর্ঘদিন ধরেই তাকে ব্যবসা না করতে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। এ নিয়ে বিবাদীদের সাথে মনোমালিন্য চলে আসার জের ধরে আওয়ামী দোসররা নানাভাবে হেনস্তা করছে। এমনকি এক ঘরে করে রাখার পায়তারা করে আসছে। এরই জের ধরে শনিবার দিবাগত রাত প্রায় ১০টায় প্রচণ্ড শব্দের আওয়াজ শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখতে পান দোকান ভাংচুর চলছে। পরিবারের লোকজন তাকে আটকে দিয়ে ভিডিও করতে গেলে তাদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ৩০/৩৫ জনের একদল দাঙ্গাবাজ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দোকান ভাংচুর করে মালামাল নিয়ে যায়। এতে দোকানের সিমেন্টের পিলার, বাঁশ-টিনের তৈরি দোকান ঘর, দোকানে মালামালসহ প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে অভিযোগে উল্লেখ করা বিবাদীদের অনেকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাওয়া দিরাই থানার এস আই প্রদীপ জানান, জাতীয় জরুরী পরিষেবা ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দোকানের মালিক তাকে বলেছেন, তার মুদি দোকানটি ভেঙ্গে মালামাল লুট করা হয়েছে।