সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন ধর্ম, নীতি-নৈতিকতাহীন ও হানাহানির রাজনীতি এবং দলাদলির ব্যাপারে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সতর্ক থাকতে হবে। পরকালে প্রত্যেকের হাশর হবে তার দলনেতার নেতৃত্বে। তিনি ভক্ত-মুরিদদের উদ্দেশ্যে বলেন, হালাল রোজগার করবে, সন্তানদেরকে কুরআন-হাদীসের শি¶ায় শি¶িত করে তুলবে। ঘরের স্ত্রী-মেয়েদের প্রতি ইনসাফ করবে, যারা নারীদের ওপর হাত ওঠায় তারা নিকৃষ্ট জালিম বলেও তিরিষ্কার করেন পীর সাহেব চরমোনাই।
আমরা বিরোধী দল কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করি না। ইসলাম দেশ ও মানবতার জন্য রাজনীতি করি। আমাদের নেতা ও শায়েখ চরমোনাইয়ের মরহুম পীর সাহেব আজীবন রাজনীতি করেছেন কিন্তু মন্ত্রী-এমপি হবার লোভ ও ¯^প্ন তাঁর ছিল না। আমরা চাই ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি ইসলামী শক্তির ভিত তৈরি করতে। আমাদের শায়েখ দুনিয়াতে নেই, আমরাও থাকবো না, কিন্তু উত্তরসূরিদের জন্য নির্ভেজাল ইসলামী জীবনাদর্শভিত্তিক একটি ফ্লাট ফরম রেখে যেতে চাই।
পীর সাহেব চরমোনাইয়ের ভক্ত-মুরীদানের আধ্যাত্মিক ও আর্ত-সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি সিলেট জেলার উদ্যোগে আলিয়া মাদরাসা ময়দানে গত ৯ ডিসে¤^র থেকে শুরু হওয়া ৩ দিনব্যাপী বিশাল ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকিরের সমাপনী দিবস শুক্রবার রাতে প্রধান অতিথির বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।
২য় দিন মাহফিলে বিশেষ মেহমান হিসেবে উর্দু ভাষায় বয়ান পেশ করেন দারুল ঊলূূম দেওবন্দ (ভারত) মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতী মোঃ আমিন পালনপুরী এবং তাঁর বক্তব্য বাংলায় অনুবাদ করে দেন আল্লামা আহমদ শাহ শফি দা:ব: এর খলিফা মুফতী ওমর ফারুক সন্ধীপী। মুফতী মোঃ আমিন পালনপুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, আপনারা বেশি বেশি জিকির করুন তাহলে আল্লাহর ওলি হতে পারবেন। নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। জিকিরের মধ্যে ‘লা ইলাহা ইলল্লাহ’ ‘ইল্লাল্লাহ’ ‘ইল্লল্লাহ’ ‘আল্লাহ’ ‘আল্লাহ’ বলবেন। আল্লাহ বলেন, আমার ওলীদের সাথে যে দুশমনি করে, সে যেন আমার সাথে দুশমনি করে। আল্লাহর ওলীরা কিছু দিতে পারেনা, কিন্তু দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়। চরমোনাই’র মরহুম পীর ফজলুল করিম রহ. এর ৫টি হক মিশন চালিয়ে যাওয়ার জন্য চরমোনাই পীর রেজাউল করীমকে আল্লাহ যেন কবুল করেন। তার মধ্যে ১টি মিশন হলো ৬৮ হাজার গ্রামে (৬৮ হাজার মক্তব) যেন প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
মাওলানা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মুফতী লোকমান খানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ হাফিজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, মুফতী সৈয়দ ইসহাক মোঃ আবুল খায়ের, মাওলানা ফয়জুর রহমান, মাওলানা মুস্তফা কামাল, মাওলানা রেজওয়ানুল হক রাজু প্রমুখ।