শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন দেশে কোনো আইএস নেই। তাহলে আইএস নামে আদালতে যে ৪ জনের বিচার চলছে তারা কারা ? আইএস নিয়ে সরকার দ্বিমুখী বক্তব্য দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত ‘দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা-২০১৫’ তে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফখরুল বলেন, সরকার মুখে বললেও বাস্তবে তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। দৈনিক আমারদেশ, দিগন্ত ও ইসলামিক টেলিভিশন বন্ধ করে রেখেছে। এটার নাম গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নয়। তিনি বলেন, সরকার বলছে দেশে আইএস নেই। কিন্তু কোর্টে ৪ জনের বিচার হচ্ছে আইএস নামে। এই চারজন কিশোর বালককে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা কন্ট্রাডিক্টোরি এবং স্ববিরোধী।
একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, আমরা বলেছি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি অর্থবহ নির্বাচন প্রয়োজন। যেখানে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের মত প্রকাশ করতে পারবে। তার কোন বিকল্প নেই। সেই ধরনের একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেশ এবং জাতিকে রক্ষা করার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। পৌর নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, এবারের পৌর নির্বাচন নতুন নিয়মে দলীয় প্রতীকে হচ্ছে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন দেয়ার সরকারের উদ্দেশ্যে হলো ধানের শীষ অত্যন্ত একটি পপুলার প্রতীক। সেটাকে পরাজিত দেখাতে পারলে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে।এটা যে সরকার করবে না, এ ব্যাপারে কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারেননি এবং পারবেও না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা নির্বাচনে নেমেছি কারণ আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাই, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, আমরা মানুষের অধিকার গুলোকে রক্ষা করতে চাই। আমরা দেশ এবং গনতন্ত্র রক্ষা করার জন্যই এ নির্বাচনে গিয়েছি। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং দেশপ্রেমি মানুষকে রক্ষা করার জন্য আপনারা অতীতে যেভাবে ভুমিকা রেখেছেন বর্তমানে সেরকম ভূমিকা রাখবেন বলে আশাকরি।
তিনি বলেন, স্বাধীন গণতন্ত্রের প্রধান স্তম্ভ হলো স্বাধীন গণমাধ্যম। কিন্তু সরকারের নির্বাহী আদেশে দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক টিভি, চ্যানেল ওয়ান এবং আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একুশে টিভি বন্ধ করা হয়নি কিন্তু দখল করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আব্দুল হাই সিকদার, সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠনের আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, শাহীন হাসনাত প্রমুখ।