মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : গুলশানের বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। এ সময় বিএনপিতে ফেরার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছেন তিনি। সূত্র জানায়, সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে খুব শিগগিরই এলডিপি বিলুপ্ত করে বিএনপিতে ফিরছেন কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলডিপির শীর্ষ দুই নেতা জানিয়েছেন, পৌর নির্বাচনের পরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে এলডিপি বিলুপ্ত করে বিএনপিতে ফিরবেন দলটির সাবেক এই প্রভাবশালী নেতা। এলডিপির দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে বিষয়টি গোপনীয় হওয়ায় দলটির কোনো নেতা মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অলি আহমেদকে ফোন দিলে তার সবগুলো নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। দলের মহাসচিবও ড. রেদওয়ান আহমেদও ফোন ধরেন নি। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম ফোন রিসিভ করলেও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সূত্র মতে, গত সেপ্টেম্বরেই বিএনপিতে ফিরতে চেয়েছিলেন কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রম। প্রাথমিক আলাপ-আলোচনাও শেষ করেছিলেন তিনি। কিন্তু কিছু টেকনিক্যাল কারণে বিএনপির চেয়ারপারসনের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাননি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। সূত্র জানায়, এই মুহূর্তে এলডিপি বিলুপ্ত করে বিএনপিতে ফিরলে ২০ দলীয় জোট ১৯ দলীয় জোটে পরিণত হবে। তখন জোটের নাম পরিবর্তন করতে হবে খালেদা জিয়াকে। অথবা আরেকটি ভূঁইফোর রাজনৈতিক দল জোটে ভিড়িয়ে জোটের নাম অক্ষুণ্ন রাখতে হবে জোট নেতাকে। সেই কারণে অলি আহমেদকে ঝুলিয়ে রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসন। আরেকটুক অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন পুরনো সহকর্মীকে। এরপর খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যে যান অলি। সূত্রমতে, সেখানে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, খালেদা জিয়া ও কর্নেল অলি আহমেদ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কতকগুলো শর্ত মেনে বিএনপিতে ফিরতে পারবেন কর্নেল অলি। এরই প্রেক্ষিতে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে জোটের বাইরে গিয়ে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী দেননি কর্নেল অলি। বরং নিজ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীকে নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বিএনপিতে ফেরার বিষয়টি পাকা করেছেন এলডিপির চেয়ারম্যান। এ ব্যাপারে খালেদা জিয়ার কাছ থেকেও ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন তিনি। এখন কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া বাকি।