শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৭ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : জাতীয়পার্টির (জাপা) চলমান সংকট সমাধানে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারস্থ হয়েছেন রওশন এরশাদ। আজ বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের বিরতির সময় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেখা করেন রওশন এরশাদ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাপা নেতা ও পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট বৈঠক হয়েছে বলে জানা যায়। এর আগে, সংসদ অধিবেশন কক্ষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে রওশন শাসিয়েছেন বলেও জানা যায়। রওশন এরশাদ রুহুল আমিন হাওলাদারকে বলেন, তুমি বেশি বেড়ে গেছো। তোমার সাহস বেশি হয়ে গেছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে বিরোধীদলীয় নেতার কার্যালয়ে জাতীয়পার্টির সংসদ সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন রওশন এরশাদ। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, জিএম কাদেরকে পার্টি কো-চেয়ারম্যান এবং রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব করায় জাতীয়পার্টির মধ্যে বিরাজমান বিরোধ নিয়েই শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন রওশন এরশাদ।
অন্যদিকে জাতীয়পার্টি মন্ত্রিরীসভায় থাকছে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ-এর স্ত্রী পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশন এরশাদ। বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। রওশন এরশাদের কাছে জানতে চান, তার দল সরকার থেকে বেরিয়ে আসছে কি না? এর জবাবে এক কথায় ‘না’ উত্তর দেন রওশন এরশাদ। বিএনপিবিহীন দশম সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয়পার্টির তিন নেতা মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। এর ফলে সংসদে কার্যকর বিরোধী দল নেই বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। এরশাদও স্বীকার করেছেন, তাদের অবস্থান জনগণের কাছে স্পষ্ট নয়। দলটির নতুন কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের আজ এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বলেছেন ‘যারা মন্ত্রিসভায় রয়েছেন, উনারা যদি আলাদাভাবে মন্ত্রিসভায় যান আমার এবং জাতীয়পার্টির আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু জাতীয়পার্টিতে থেকে এটা করতে হলে আমাদের রাজনীতি হচ্ছে না।’
“জাতীয়পার্টির সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয়েছে কি না-জানতে চাইলে রওশন বলেন, “সেটা নিয়ে তার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে কেন আলোচনা করব? ওটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।”
এরশাদ তার ভাই জিএম কাদেরকে জাতীয়পার্টিতে তার উত্তরসূরি ঘোষণার পর থেকে দলটিতে অস্থিরতা চলছে। এর পাল্টায় রওশনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণার পর এরশাদ মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলুকে সরিয়ে দেন। এই দুই সিদ্ধান্ত নিয়ে রওশনের আপত্তি রয়েছে। নিজের আপত্তির বিষয়টি তিনি জানানোর পর তা প্রত্যাখ্যান করেছেন এরশাদ। জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান করার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন কি না-জানতে চাইলে রওশন বলেন, “নতুন নেতৃত্ব আসতেই পারে। নতুন লোকজন আসতে পারে। এটা একটা নরমাল ঘটনা।”
সংসদে শেখ হাসিনার কার্যালয় থেকে বের হয়ে নিজের কার্যালয়ে ফেরার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। রওশন বলেন, “ময়মনসিংহ বিভাগ, ময়মনসিংহে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ব্রহ্মপুত্র নদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে।”