বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার : পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে আপন ফুফাতো ভাইয়ের হাতে নিহত আলমগীরের লাশ পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় ময়না কদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দিরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৪ জুন বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভার মাছ বাজারের গলিতে আব্দুর রাজ্জাক ও মুহিব উল্ল¬াহর লোকজনের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের বুরহানপুর গ্রামের মহিব উল্ল¬াহ ও পৌরশহরের চণ্ডিপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই, দীর্ঘদিন ধরে এ দু’পরিবারের মধ্যে টাকা ও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কলহ চলছিল, এর জের ধরেই ঐদিন উভয়পক্ষের লোকজন বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আলমগীর হোসেনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হলে এলাকার লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে দিরাই থেকে সিলেট যাওয়ার রাস্তায় সে মারা যায়।
দিরাই থানার এএসআই শামছুল হক খান জানান, পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক এম মুর্শেদের নেতৃত্বে আজ শনিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নিহত আলমগীরের লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার সাথে জড়িত সে সময় মহিব উল্লাহ (৫২), তার ছেলে নজির আহমদ (২৮) ও রফিকুল ইসলামকে (৩১) ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার থেকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তারা কারাগারে আটক রয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-০১, ০৪/০৬/২০১৫।