শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
সিলেটে কুরবানীর পশুর চামড়ার কোন ক্রেতা নেই বললেই চলে। দুই এক জন যারা কিনতে চায় তারা প্রতি পিস চামড়ার দাম ২৫ থেকে ৮০ টাকার বেশি দিতে রাজি নয়।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার চামড়ার অস্থায়ী বাজারে প্রতি পিস ছোট চামড়ার দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, মাঝারি আকারের প্রতিটি চামড়া ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং বড় চামড়া ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ সিলেটে ১০০ টাকাও কেউ দিতে চাচ্ছে না। ঈদের দিন বিকেলে নগরীর আম্বরখানায় দেখা যায়, এক ব্যক্তি দেড় লাখ টাকা দামের গরু চামড়া বিক্রির জন্য এলে মৌসুমি এক চামড়া ব্যবসায়ী চামড়ার দাম করেন২৫ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস চামড়ার দাম মাত্র ২৫ টাকা। কোন উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ২৫ টাকায় বিক্রি করে চলে যান চামড়ার মালিক।
যার ফলে এবার মাদ্রাসা এবং এতিখানার ছাত্রদের এবার কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে তেমন কোন আগ্রহ দেখা যায়নি। তারপরও যারা চামড়া সংগ্রহ করেছিলেন তারা সেটা নিয়ে পড়েন বিপাকে। খাসদবির দারুস সালাম মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবারও ঈদুল আযহায় নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৮২৬টি পশুর চামড়া সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু দিনশেষে এর ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার সোমবার রাত ১২টার দিকে নগরীর আম্বরখানা পয়েন্টে আট শতাধিক চামড়া ফেলে প্রতিবাদ করেছে।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানায় এই চামড়া বিক্রির অর্থ মাদ্রাসার খরচ সঙ্কুলানের একটা অন্যতম উৎস ছিল।
তিনি জানান, সংগৃহীত চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার প্রতিবাদে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সেগুলো রাস্তায় ফেলে প্রতিবাদ করে। এই চামড়া বিক্রির অর্থ মাদ্রাসার খরচ সঙ্কুলানের একটা অন্যতম উৎস ছিল বলে জানান তিনি।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে বিষয়টি জানালে মেয়র স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করলেও তারা চামড়া নিতে রাজি হননি, বলে জানা যায়।
প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্র জানায়, সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় এবার কোরবানি হবার কথা প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার ৪৩৫টি গরু।