আমার সুরমা ডটকম: সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েলকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বুধবার রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাত ৮টায় দুদক কর্মকর্তারা তাকে পুলিশের সহযোগীতায় সিলেট নগরের তালতলা থেকে গ্রেফতার করেন। সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহাম্মদ জানান, দুর্নীতির মামলায় সিলেটে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েলেকে গ্রেফতার করেছে দুদক।
দুদক সূত্র জানায়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা প্রকল্পসহ বিভিন্ন খাত থেকে কোটি টাকা আত্মসাৎ করে রেকর্ডপত্র সরবার না করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ মামলা হয়। দুদকের সিলেট জেলার উপপরিচালক রেভা হালদার বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সিলেট জেলার ইউনিট কমান্ডার। তিনি নগরীর চালিবন্দর এলাকার সমতা ৫নং বাসার মৃত সুবোধ চক্রবর্তীর ছেলে। ১ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের হলেও বিষয়টি গোপন ছিল। সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল সিলেট মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৩ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, সিলেট মুক্তিযোদ্ধা প্রকল্পের ১৪ লাখ টাকা, তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত ১৩টি কম্পিউটার, মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যার্থে বিগত ২০০৭ সালে কোরবানির ঈদে সিলেট সিটি কর্পোরেশন থেকে ইজারা প্রদানকৃত কয়েদির মাঠের গরুর বাজার হতে গরু, মহিষ ও ছাগল বিক্রির খাজনা বাবদ প্রাপ্ত টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এসব অপরাধের দায় থেকে অব্যাহতি পাওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকে তিনি রেকর্ডপত্র সরবরাহ করতে বিরত ছিলেন।
সম্প্রতি সিলেটে তোলপাড় চলছে সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েলের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘রণাঙ্গন-৭১’ প্রকাশনা নিয়ে। ওই স্মারকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের পিতাকে রাজাকার আখ্যা দেয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বাবা অ্যাডভোকেট আবদুল হাফিজের নাম সিলেট জেলা শান্তি কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের বাবা দেলওয়ার হোসেন পিরু মিয়াকে বলা হয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান। গত ২০ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে বিতর্কিত এই স্মারকটির মোড়ক উন্মোচন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।