বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ): কিছুদিন বন্ধ থাকার পর বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আবুয়া ও রক্তি নদীতে ফের শুরু হয়েছে দিন-দুপুরে চাঁদাবাজি। নদীর দুটি পয়েন্টে স্থানীয় একটি চাঁদাবাজ চক্র নিয়মিত চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া, টেকেরঘাট, চারাগাঁও শুল্কস্টেশন ও ফাজিলপুর বালুমহাল থেকে ছেড়ে আসা বালি-পাথর, কয়লা মালবাহী বল্কহেড মাঝি, শ্রমিক ও নৌ মালিকেরা এ চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন। ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুরের ফতেপুর ইউনিয়নের কতিপয় চাঁদাবাজ চক্র এ চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা না দিয়ে চাঁদাবাজরা নৌ শ্রমিকদের নানাভাবে হয়রানি ও মারধর করে থাকে। ইতোপূর্বে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে ডিআইজি বরাবরে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন সুনামগঞ্জ মালবাহী নৌ পরিবহন শ্রমিক সমবায় সমিতি লিমিটেড-এর সভাপতি সফিজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী। এর প্রেক্ষিতে কিছুদিন চাঁদাবাজি বন্ধ থাকলেও ফের চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। চাঁদাবাজদের বেপরোয়া আচরণে নৌকার মাঝি, শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে আমদানিকৃত পণ্য পরিবহনের মাধ্যম তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশার নদীপথ। ওই নদীপথে বাল্কহেডসহ অন্যান্য নৌযান চলাচলের সময় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার একাধিক স্থানে ছোট ছোট ইঞ্জিন নৌকার সাহায্যে চাঁদা আদায় করে চলছে চাঁদাবাজ চক্র। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক নৌ শ্রমিকরা জানান, চাঁদাবাজদের কথা মতো চাঁদা না দিলে মারপিট করা হয় তাদেরকে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে থাকে এসব চাঁদাবাজরা। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।
সুনামগঞ্জ জেলা নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ বিন ওয়াহিদ বলেন, ‘ইতিপূর্বে আমরা ডিআইজি বরাবরে লিখিত অভিযোগ করি, পরে কিছু দিন চাঁদাবাজি বন্ধ ছিল। বর্তমানে আবারও চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে।’ বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মোল্লা মুনির হোসেন বলেন, ‘মামলা দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন চাঁদাবাজি নেই।