সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
এমএম ইলিয়াছ আলী, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা: দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জামখলা, দেখার হাওর, শল্লার দাইড়, খাইর হাওরসহ সবকটি হাওরে পানি ঢুকায় এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে হাওরপাড়ের কৃষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জামখোলা হাওরের ৩১শ হেক্টর, দেখার হাওরের ২৫শ হেক্টর, সাংহাইর হাওরের নাকডোরাসহ সবকটি হাওরের বোরো ধানের জমি তলিয়ে গেছে। নির্ধারিত সময়ে বাঁধ নির্মাণ না করতে পারায় এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দেখার হাওরে বাঁধ সম্পূর্ণ নির্মাণ না করায় দেখার হাওরে গত ৫/৬ দিনে পানি ঢুকে ২৫শ হেক্টর বোরো ফসলি জমি তলিয়ে যায়। এতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্থানীয় কৃষকেরা সোচ্ছার হয়ে উঠে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৫ ঘণ্টাব্যাপি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার হাওরপাড়ের হাজার হাজার কৃষক দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন শান্তিগঞ্জ বাজার এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোদ্ধ করে রাখে। এ সময় পাগলা বাজার হতে আহসানমারা সেতু পর্যন্ত প্রায় ৫ মাইল দীর্ঘ গাড়ির লাইনের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় হাজারো কৃষক বিভিন্ন ধরণের শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময় কৃষকরা দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম ও সিন্ডিকেট, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কটুক্তিমূলক শ্লোগান আবুল কালামের দুই গালে, সিন্ডিকেটের দুই গালে জুতা মার থালে থালে এমন শ্লোগানে প্রকম্পিত করেন। পরবর্তীতে জামখালার হওরে পরিদর্শনে থাকা দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলমগীর কবির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং হাওরপাড়ের কৃষকদের ন্যায্য দাবিগুলি শুনে এবং আশ^াস প্রদান করেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আল আমিন জানান, কৃষকদের সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং প্রশাসনের আশ^াসে কৃষকরা তাদের অবরোধ তুলে নিয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।