সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
নিখোঁজ ইন্দোনেশীয় বিমানের বিধ্বস্ত এলাকার সন্ধান মিলেছে

নিখোঁজ ইন্দোনেশীয় বিমানের বিধ্বস্ত এলাকার সন্ধান মিলেছে

file (31).jpeg11আমার সুরমা ডটকম ডেক্স : ৫৪ জন যাত্রী নিয়ে পাহাড়ি এলাকায় ট্রাফিক কন্ট্রোলের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ইন্দোনেশীয় বিমানের বিধ্বস্ত এলাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম একথা জানিয়েছে। এর আগে বিমানটির নিখোঁজ হওয়ার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়। বিবিসিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, পাপুয়া অঞ্চলের ওকটাবে জেলায় বিমানটির সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে ৪৯ যাত্রীসহ ৫৪ আরোহীর ভাগ্যে কী ঘটেছে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি ওইসব সংবাদমাধ্যম। দেশটির জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা টুইটার বার্তায় জানিয়েছে, তাদের কর্মীরা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি এবং এ ধরনের সংবাদ নিশ্চিত করতে পারছে না। গতকাল অপরাহ্নে ৪২ মিনিটের যাত্রায় ইন্দোনেশিয়ার জয়াপুরায় বন্দর ছাড়ার ৩৩ মিনিটের মধ্যেই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ত্রিগানা এয়ার সার্ভিসের বিমানটির। সেটি দেশের সর্ববৃহৎ একেবারে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পাপুয়ার ওকসিবিল যাচ্ছিল। দেশটির জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর জানিয়েছে, বিমানটিতে মোট ৫৪ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ৫ জন বিমানকর্মী ও ৫টি শিশু। পাপুয়া প্রদেশের পূর্বে দুর্গম এলাকা পেরনোর কয়েক মিনিট আগেই বিমানটির সঙ্গে এয়ারপোর্টের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা টুইটার বার্তায় জানায়, কম দৃশ্যমানতার কারণে গতকালের অনুসন্ধান তৎপরতা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় এবং আজ (সোমবার) সকাল থেকে উদ্ধার তৎপরতা ফের চালু করা হবে। এএফপি এক টুইটার বার্তায় পরে জানায়, গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, তারা বিধ্বস্ত বিমানটি সন্ধান পেয়েছে।ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে তাদের আকাশে ইন্দোনেশীয় বিমান ওড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গত জুন থেকে তারা ৪টি বাদে বাকি সব ইন্দোনেশীয় বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে। ত্রিগানা এয়ার সার্ভিসেসের ফ্লাইটও ওই অঞ্চলে ওড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই নিয়ে গত এক বছরে তিনবার-চারবার বড়সড় বিমান দুর্ঘটনা হল ইন্দোনেশিয়ায়। ২০১৪-র মার্চে ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স-এর বিমান গঐ৩৭০। সম্প্রতি সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, মাঝপথে ভেঙে পড়েছিল বিমানটি। গত ডিসেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার সুরাবেয়া থেকে সিঙ্গাপুরগামী এয়ার এশিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৬২ জন যাত্রীর। চলতি বছরের জুলাইয়েও একটি বিমান দুর্ঘটনায় ১০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয় ইন্দোনেশিয়ায়।১৭ হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটির বিমান ব্যবসায় খুব দ্রুত উন্নতি ঘটেছে। কিন্তু সেই তুলনায় তারা পাইলট, প্রকৌশলী, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাযথ উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে সক্ষম হচ্ছে না। সূত্র : এএফপি, বিবিসি ও ইউএসএ টুডে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com