শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন
মিজান আহমদ, পাইলগাঁও (জগন্নাথপুর) ইউনিয়ন সংবাদদাতা: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের আজ থেকে শুরু হওয়া ৩ দিন ব্যাপী শতবার্ষিকী বিশ্ব সন্মেলনের শুরু হয়েছে। যেখানে পবিত্র ক্বাবার ইমাম ড. শায়খ সালেহ, আল্লামা তাক্বী উসমানী, ভারতের সৈয়দ মাহমুদ মাদানীসহ বিশ্বের অনেক বড় বড় উলামায়ে কেরাম একত্র হয়ে দিকনির্দেশনা মুলক বয়ান করছেন। গত বছর ভারতে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ, ভারতে মহাসন্মেলনেও মক্কার মসজিদে হরমের ইমাম শায়খ সালেহ, আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসউদসহ বিশ্বের অনেক বড় বড় উলামায়ে কেরাম উপস্থিতে হয়ে দিক নির্দেশনামুলক বয়ান করেছেন। শতবার্ষিকী সম্মেলনে কেবল নানা স্থরে তাদের সেচ্ছাসেবক এর সংখ্যাই দশ হাজার।
প্রথমদিনই উপস্থিতি ৫ লক্ষ নেতা কর্মি। সম্প্রতি জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সারা জাগানো বিশ্ব শান্তি সম্মেলন ও মাদক বিরোধী জাতীয় ঐক্য সম্মেলন হয়েছে। এ জাতীয় দেশপ্রেম মূলক প্রোগ্রাম বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতির নতুন আইডিয়া হতে পারে। আলেমদের মাঝে এখতেলাফ ভারত এবং পাকিস্থানেও আছে, তবে কাজের ব্যস্থতায় তারা এখতেলাফকে পিছনে ফেলে দল সমূহকে অনেকটা এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। যার ফলে তাদের সকল গ্রুপের সভা সমূহেই লক্ষ লক্ষ মানুষ উপস্থিত হয়ে থাকেন। ভারতে জমিয়ত রাজনৈতিক দল না হয়েও রাজনৈতিক অবস্থানে তারা বড় ধরনের ফ্যাক্টর। আমাদের জমিয়ত হয়তো আবার ঘুরে দাড়াবে, আমরা এখতেলাফের পিছনে সময় বেশী দিয়ে থাকি বলেই আমাদের কাজ কম, কথা বেশী। সবর্ত্র পদ পদবী নিয়ে দন্ধ পুরন। রাজনীতি করি রাজনীতির জন্য। আমাদের রাজনীতি যখন এবাদত হবে তখন আমরাও তাদের মতো চমক দেখাতে পারব। রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক জমিয়তককে নিয়ে আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাড়াতে
পারব। দেশপ্রেমেরর মূল চেতনার শক্তি থাকবে হয়তো সেদিন আমাদের হাতে। এখনো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংগঠন হিসাবে,
বাংলাদেশে জমিয়তে উলামার প্রতি সাধারন মানুষের যে প্রেম ভালবাসা আস্থা তা নজির বিহীন। কেবল জমিয়ত নাম নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী জোট রাজনীতি, দলটির সতন্ত্র অবস্থানকে বিনষ্ট করে একেবারে তলা বিহীন জুড়িতে নামিয়ে দিয়েছিল।
জমিয়তে উলামা ফের হয়ে উঠছে চিন্তাশীল তারুন্যের চেতনার উৎস। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে জমিয়ত থেকে বের হয়ে যত দলই করা হয়েছে, কেউ কিন্তু জমিয়তকে বাতিল মনে করে দুরে সরে যাননি। কিন্তু আমাদের দুর্বলতার কারণে জমিয়ত
থেকে তারা সরে গেছেন। অনেকে নতুন দল গঠন করেছেন। এখনও যদি আমরা সচেতন না হই, তাহলে ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকার হয়ে আসবে। জমিয়ত হতে পারে সর্বজনীন জাতীর একটি আর্দশিক প্লাটফর্ম। এখনো সারাদেশে হাজারো বুর্জুগ চোখের পানি ফেলেন হৃদয়ের জমিয়তের জন্য গভীর রজনীতে একাকী জায়নামাজে। একান্না বৃথা যেতে পারেনা। ভারত ও পাকিস্থানের পর এবারে বাংলাদেশের পালা। আগামিতে ২০২১ সালের পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশের আলেমরা কিছু করতে পারেন কি না দেশ জাতি, হৃদয়সম মাতৃভূমির জন্য, বিষয়টি রাজনৈতিক নেতাদের ভাবা উচিত। দেশপ্রেম মূলক উন্নায়নধর্মি জাতীয় প্রোগ্রাম। জমিয়ত হয়ে উঠতে পারে নতুন সাজে নব উদ্দ্যমে আর্দশিক চেতনার শানিত অবয়বে। যদিও পাকিস্তান জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের চেয়ে ভারতের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সাথে বাংলাদেশের জমিয়তে উলামার সুগভীর সম্পর্ক বেশি বিদ্যমান। তাই আমরা কমপক্ষে ভারত জমিয়তকে তো ফলো করতে পারি চিন্তাশীল কাজের জন্য। জমিয়তের মূল ধারা বেগবান হোক। জমিয়ত হোক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী আন্দোলনের আইডল। চিন্তক বুদ্ধিভিত্তিক আন্দোলনে পথ চলা হোক আরো সুপরিকল্পিত। কবুল কর দয়াময়।