মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২০ অপরাহ্ন
মোঃ আবুল কালাম জাকারিয়া, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা: ফসলরক্ষা বাঁধে টানা বহুদিন স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ কারার পরও শেষ রক্ষা হলো না সুনামগঞ্জের খাদ্যভাণ্ডার খ্যাত শনির হাওরের পর পাকনার হাওরও। সোমবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে হাওরের মাটিউড়া বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যেতে শুরু করে কৃষকের ফসল। এতে হাওরে আবাদকৃত জমির বোরো ফসলের বেশিরভাগ নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে এবং গো খাদ্যের যোগান দিতে হাওরে পানি পরিপূর্ণ হওয়ার আগে কাঁচা ধান কাটতে শুরু করেছেন অনেক কৃষক। চৈত্রের মাঝামাঝি সময়ে ভারিবর্ষণ ও অকাল বন্যায় নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে হাওরটি রক্ষার জন্য এগিয়ে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রসূন কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ও ফেনারবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু তালুকদার, সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান আক্তারসহ হাজার হাজার স্বেচ্ছাশ্রমী কৃষক-জনতা। সাধারণ কৃষককে সংগঠিত করে হাওরের কিলোমিটার কিরোমিটার বাঁধ নির্মাণ শুরু করেন স্বেচ্ছাশ্রমে। বন্যায় যখন জেলার বাঁধ ভেঙে একের পর এক হাওরের ফসল তলিয়ে যেতে যেতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৯০ ভাগে এসে দাঁড়ায়, তখনও সুরক্ষিত ছিল পাকনার হাওর। বৃষ্টিপাত ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শেষ পর্যন্ত পাকনার হাওরের মাটিউড়া বাঁধ।শতবার ভাঙ্গা ঘরার পরও শেষ আশার আলো আজ নিবে গেল।এতে করে কাঁদছে হাজারো কৃষক কৃষাণী। ভাটি অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের মনে প্রশ্ন আমাদের লেখা-পড়ার খরচ কেমনে চলবে, স্কুল-কলেজের বেতন কোথা থেকে দেয়া হবে? কৃষকদের ক্ষতি পূরণের পাশাপাশি আমাদের নিয়েও ভাবতে হবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের। আর যাদের কারণে আজ কৃষকদের এই দূরাবস্থা তাদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাই আমরা। উপরোক্ত কথাগুলো বলছিল ভীমখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন ১০ম শ্রেণীর ছাত্র।