শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
সাইফ উল্লাহ, বিশেষ প্রতিবেদক (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় পপি, উপমা, ইউপি চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকসহ প্রত্যন্ত দূর্গত এলাকা পরিদর্শন ও মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সকালে ধর্মপাশা উপজেলাধীন সুখাইর রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জারাকোনা, সশাকন্দা, ইসলামপুর ও সুখাইরসহ বিভিন্ন গ্রামের দূর্গত মানুষের জীবনমান, ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও মানবিক সহায়তা বিষয়ক নিয়ে মতবিনিময় করা হয়েছে। এলনা প্রকল্পের অর্থায়নে অক্সফার্ম ইন বাংলাদেশ ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা পপি এবং লিড এ্যাক্টর উপমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুখাইর রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ফরহাদ আহম্মেদ, পপির এলনা প্রজেক্টের ফাইন্যান্স প্রজেক্ট অফিসার মোঃ হারুন অর রশিদ, উন্নয়ন পরিকল্পনার মানুষ (উপমা)-এর প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ সাইফুল আলম খান, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ ওয়ালী উল্লাহ সরকার, সহ-সাধারন সম্পাদক ও ধর্মপাশা উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সাইফ উল্লাহসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জারাকোনা গ্রামের মোঃ জামিরুল মিয়া (৬৫), আলী আজম (৫৫), পারভীন বেগম (৩২), সাজনাহার (৫০), রাহেলা খাতুন (৭০), সরুত জাহান বিবি (৭২), আবুল কালাম (৫৩), ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী রুনা আক্তার, একই ইউনিয়নের সশাকান্দা গ্রামের আশরাফ আলী (৭২), সিদ্দিক মিয়া (৬৫) ফসলহারা কৃষক কৃষাণীদের আগাম বন্যায় ধ্বংস করে দেয়ার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। তাদের সাজানো স্বপ্নের সোনার সংসারে এসেছে টানা পোড়েন। জীবন-জীবিকার তাগিদে কৃষাণীরা উদ্বিগ্ন। তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে গতবার হাওর নিল পানিতে, এর আগেরবার গেল শিলাবৃষ্টিতে এবং এবারও তলিয়ে গেল আগাম বন্যার পানিতে। এরপর বাড়ির বাঁধ দিতে পারি নাই, কিছু দিনপর ঢেউয়ে বাড়িঘর সর্বস্বান্ত হয়ে যাবে। তাদের সাথে আলোচনা করে জানা যায়, আগামি ফসল উঠার আগ পর্যন্ত বেঁচে থাকতে হলে প্রথমে খাদ্য সংস্থান, তারপর মৎস্যজীবি ও হাওরপাড়ের কৃষকদের জন্য এক বছরের জন্য হাওর বিলের ইজার প্রতা স্থগিত করে হাওরের গুলোকে মাছ মারার জন্য উম্মুক্ত করে দিতে হবে এবং হাওরের সাধারণ মানুষের জন্য জাল, নৌকা, কৃষি উপকরণ, কৃষি ও এনজিও ঋণ স্থগিত করে পূর্ণরায় ঋণ দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি এনজিও সংস্থা মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে ঘরে খাবার সংস্থান করে দিতে হবে। গবাদিপশু ও হাঁস, মুরগি পালনের জন্য গো-খাদ্যসহ আর্থিক সহযোগিতা করতে হবে। তারা আরো জানান, প্রতিটি গ্রামে প্রায় ২০ ভাগ লোক গ্রাম ছেড়ে কর্মসংস্থানের জন্য অন্যত্রে চলে গেছে। এছাড়া গ্রামে পানি ও স্যানিটেশনের সমস্যা রয়েছে বলে জানায় একাধিক সূত্র।