শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১

দুর্যোগ সচিবসহ পাউবো কর্মকর্তা পিআইসি ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে মামলা

aamarsurma.com

আমার সুরমা ডটকমবাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে সুনামগঞ্জে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পাউবোর কর্মকর্তা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জের সিনিয়র স্পেশ্যাল জজ আদালতে ১২/২০১৭নং স্পেশ্যাল মামলাটি দায়ের করা হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল হক বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, পাউবোর ১৫ জন কর্মকর্তা, ৩৯টি পিআইসির ৭৮ জন সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ মোট ১৪০ জনকে আসামী করা হয়েছে। সাক্ষী করা হয়েছে বর্তমান জেলা প্রশাসক মোঃ সাবিরুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলামসহ জেলায় কর্মরত ২৯ জন আইনজীবি ও সাংবাদিককে। বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ১২০-বি/৪০৯/১৬৬/১৬৭/১০৯/৫১১/৫০৫(এ) ধারার পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় দায়েরকৃত মামলাটি আদালতে শুনানী করেন এডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী। এ সময় সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট ফজলুল হক আছপিয়া, এডভোকেট আফতাব উদ্দিন আহমদ, এডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, এডভোকেট প্রদীপ কুমার নাগ হারু, এডভোকেট সৈয়দ সামছুল ইসলাম, এডভোকেট রবিউল লেইছ রোকেশ, এডভোকেট মাাসুক আলম, এডভোকেট স্বপন কুমার দাস রায়, এডভোকেট শেরেনুর আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আলহাজ সৈয়দ শায়েখ আহমদ, সহ-সভাপতি এডভোকেট মোঃ শফিকুল আলম, এডভোকেট মোঃ বশির উদ্দিন, সহ-সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মোঃ পারভেজ আহমেদ, এডভোকেট আবু মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ শাহীনূর রহমান, পাঠাগার সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আবুল বাশার, সমাজকল্যাণ ও ক্রীড়া সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এডভোকেট সবিতা চক্রবর্তী, নির্বাহী সদস্য এডভোকেট মোঃ আসাদ উল্লাহ সরকার, এডভোকেট কাওসার আলী, এডভোকেট মল্লিক মোঃ মঈন উদ্দিন আহমদ সোহেল, এডভোকেট মোঃ ফরিদ উন নবী ও এডভোকেট মোহাম্মদ মানিকসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক আইনজীবী মামলার শুনানীতে অংশ নেন। সুনামগঞ্জের বিদায়ী বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মুজিবুর রহমান মামলাটি গ্রহন করেন। এর আগে গত ২রা জুলাই সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-এর কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা নং-২ (জিআর ১৯৫/২০১৭) দায়ের করেন। মামলায় ১৫ জন কর্মকর্তার পাশাপাশি ৪৬ জন ঠিকাদারকে আসামী করা হয়। উভয় মামলার আসামীরা হচ্ছেন টাঙ্গাইলের আকুর টাকুরপাড়ার সুর্য্য মঞ্জিল বাসভবনের বাসিন্দা নির্মাতা (ঠিকাদারী) প্রতিষ্ঠান মেসার্স গুডম্যান এন্টারপ্রাইজ-এর প্রোপাইটর মোঃ আফজালুর রহমান মাহবুব, ফরিদপুরের গোয়াল চামট এলাকার ঠিকাদার খন্দকার শাহীন আহমেদ, সিলেটের মদিনা মার্কেট এলাকার পল্লবী ১২/১নং বাসভবনের বর্তমান বাসিন্দা দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কামরিবীচ গ্রামের ঠিকাদার মেসার্স মাহিন কন্সষ্ট্রাকশনের প্র্পোাইটর মোঃ জিল্লুর রহমান, সিলেটের বাগবাড়ী এলাকার প্রমুক্ত ১৯৭নং বাসভবনের বাসিন্দা ঠিকাদার সজীব রঞ্জন দাস, সুনামগঞ্জ শহরের স্টেশন রোডের দিগন্ত ৩নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স এলএন কন্সট্রাকশন-এর প্রোপাইটর পার্থসারথী পূরকায়স্থ, সিলেটের জালালাবাদ এলাকার ১০/৪নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স হান্নান এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর হান্নান আহমদ ওরফে মুরগী হান্নান, পটুয়াখালী জেলার সবুজবাগ এলাকার ঠিকাদার কামাল হোসেন, সুনামগঞ্জের ষোলঘর আবাসিক এলাকার সুরমা ২৭নং বাসভবনের বাসিন্দা বিএনপি নেতা কাজী নাসিম উদ্দিন লালা, সাতক্ষীরা জেলার আমতলা কটিয়া এলাকার ঠিকাদার খন্দকার আলী হায়দার, মৌলভীবাজার জেলা সদরের পশ্চিম বড়হাট এলাকার ঠিকাদার মোঃ আকবর আলী, খুলনার ২নং লেন-এর ১৮ গগনবাবু রোডের বাসিন্দা আমিন এন্ড কোম্পানীর প্রোপাইটর মোঃ রবিউল আলম, ঢাকার খিলগাও এলাকার ২৩০/বি নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স বোনাস ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর মোঃ আবুল হোসেন, সুনামগঞ্জ স্টেশন রোডের বাসিন্দা মেসার্স বসু নির্মাণ সংস্থার প্রোপাইটর শুভব্রত বসু, জামাইপাড়ার মোহনা ১১নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স হাছান এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মোজাম্মেল হক মুনিম, ঢাকার ৯৯ মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকার ৬নং ফ্লোরের করিম চেম্বারের মেসার্স ইব্রাহিম ট্রেডার্স এন্ড শামীম আহসান-এর প্রোপাইটর মোঃ বাচ্চু মিয়া, ময়মনসিংহের ১৯ অতুল চক্রবর্তী রোডের বাসিন্দা মেসার্স এম রহমানের প্রোপাইটর শেখ মোঃ মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জ স্টেশন রোডের বাসিন্দা মেসার্স মাহবুব এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর আবুল মহসীন মাহবুব, শহরের নতুনপাড়া আবাসিক এলাকার নিলয় ১৩নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স মালতি এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর বিপ্রেশ তালুকদার বাপ্পী, সিলেটের শিবগঞ্জ এলাকার ২৮ ব্রাহ্মণপাড়া বাসভবনের বাসিন্দা ঠিকাদার মোঃ জামিল ইকবাল, সিলেটের দাড়িয়াপাড়ার সি-২১নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স নিম্মি এন্ড মুমু কন্সট্রাকশনের প্রোপাইটর চিন্ময় কান্তি দাস, ঢাকার ১৫৪ মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকার ৩য় তলার ৩০১-৩৩নং কক্ষের বাসিন্দা মেসার্স নিয়াজ ট্রেডার্স-এর প্রোপাইটর নিয়াজ আহমেদ খান, সুনামগঞ্জের নতুনপাড়া নিলয় ৬১নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স প্রীতি এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মিলন কান্তি দে, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর রবীন্দ্র স্মরণীর বাসিন্দা মেসার্স আর আর ট্রেডিং-এর প্রোপাইটর খান মোঃ ওয়াহিদ রনি, সুনামগঞ্জের আরপিননগরের সৈকত ৩নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স শোয়েব এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মোঃ শোয়েব আহমদ, চট্টগ্রাম জেলার পাচলাইশ থানার ১নং রোডের হিলভিউ আবাসিক এলাকার ৫৫৩নং প্লটের এএস টাউয়ারের ৯ম তলার বাসিন্দা মেসার্স ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্সের প্রোপাইটর মোঃ ইউনুছ, হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার ঠিকাদার মোঃ আব্দুল কাইয়্যুম, সুনামগঞ্জ পৌরসভার নতুনপাড়া আবাসিক এলাকার ঠিকাদার মোঃ আতিকুর রহমান, রাজশাহী জেলার রাজপাড়া থানার কোর্ট এলাকার ঠিকাদার মোঃ গোলাম সারোয়ার, মৌলভীবাজার জেলা সদরের কোর্টবাড়ী আজাদাবাদ বাসভবনের বাসিন্দা মোঃ কামরুজ্জামান কন্সস্ট্রাকশনের প্রোপাইটর মোঃ খাইরুজ্জামান, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার আগলা সদরপুর এলাকার মচাইনগর গ্রামের ঠিকাদার মোঃ মফিজুল হক, ঢাকার হাতিরপুল সোনারগাও এলাকার ইস্টার্ণ প্লাজার ৮ম তলার ২১-২৪নং কক্ষের বাসিন্দা ঠিকাদার মোঃ মোখলেছুর রহমান, সুনামগঞ্জ পৌরসভার উকিলপাড়া আবাসিক এলাকার ঠিকাদার মোঃ নুরুল হক, বড়পাড়ার ঠিকাদার রেনূ মিয়া, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকার ঠিকাদার মোঃ শাহরিন হক মালিক, সিলেটের শাহজালাল উপশহরের মেইন রোডের মাল্টিপ্লান শাহজালাল সিটির হিজল ৭/বি নং বাসভবনের বাসিন্দা ঠিকাদার মোঃ শামসুর রহমান বাবুল, কুমিল্লা জেলা সদরের হাউজিং এস্টেট সেকশন-২ এর ৩নং প্লটের বাসিন্দা মেসার্স ম্যাম কন্সট্রাকশন-এর প্রোপাইটর আব্দুল মান্নান, সিলেটের মজুমদারী ১৩১নং মজুমদার বাড়ীর বাসিন্দা ঠিকাদার মোকসুদ আহমদ, ঢাকার মতিঝিল মসজিদ মার্কেটের ৩য় তলার ৩০১-৩০৩নং কক্ষের বাসিন্দা মেসার্স নুনা ট্রেডার্স-এর প্রোপাইটর মোঃ সাইদুল হক, সিলেটের রায়নগর দর্জিবন্ধ এলাকার বসুন্দরা ১২৩/৬নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স রাজেন কন্সস্ট্রাকশনের প্রোপাইটর মোঃ মাহতাব চৌধুরী, ঢাকার ১৫৪ মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকার ওয়াপদা মসজিদ মার্কেটের ১০৮নং বাসভবনের বাসিন্দা মেসার্স এসএ-এসআই প্রাঃ লিমিটেড-এর প্রোপাইটর কাজী হাসিনা আফরোজ, সাতক্ষীরা পৌরসভার পশ্চিম ইটাগছার বাসিন্দা ঠিকাদার শেখ আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রামের চাদগাও আবাসিক এলাকার ১১নং রোডের এইচ ২৪৩নং বাসভবনের বাসিন্দা সোহেল কন্সস্ট্রাকশনের প্রোপাইটর লুৎফুল করিম, কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার গোমতি আবাসিক এলাকার ৫০/এ নং বাসভবনের বাসিন্দা সৈকত কন্সস্ট্রাকশনের প্রোপাইটর হাজী মোঃ কেফায়েতুল্লাহ, ঢাকার মতিঝিল ৮৬ আরামবাগ আবাসিক এলাকার খন্দকার ভবনের ৩য় তলার বাসিন্দা টেকবে ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রোপাইটর হুমায়ুন কবির, সেগুন বাগিচা আবাসিক এলাকার ৮নং বাড়ী সারিকা টাওয়ারের মোহাম্মদ উল্লাহর পুত্র ঠিকাদারের সহযোগী মোঃ ইকবাল মাহমুদ প্রমুখ।এছাড়াও পিআইসির সাথে জড়িত আসামীরা হচ্ছেন তাহিরপুর উপজেলার ৯৫নং পিআইসির সভাপতি শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ^জিৎ সরকার ও সাধারন সম্পাদক সরুফ মিয়া, ৮২নং পিআইসির সভাপতি বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হাজী সাইফুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক মোঃ সোহেল মিয়া, জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ১০৮নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার মোঃ মনসুর নূর চৌধুরী ও সাধারন সম্পাদক প্রবীর দাস, ১১৩নং পিআইসির সভাপতি জগন্নাথ বিশ্বাস ও সাধারন সম্পাদক মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান, ১১৪নং পিআইসির সভাপতি ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হাবিবুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহীম, ১১৫নং পিআইসির সভাপতি একই পরিষদের মেম্বার আব্দুল হেকিম ও সাধারন সম্পাদক লুৎফুর রহমান, ১১৬নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার নেছার আহম্মদ ও সাধারন সম্পাদক তহুর মিয়া, শাল্লা উপজেলার ২০৫নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার নিখিল চন্দ্র দাস ও সাধারন সম্পাদক রনদা প্রসাদ দাস, ২০০নং পিআইসির সভাপতি হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সুব্রত সরকার, সাধারন সম্পাদক পান্ডব দাস, ২১০নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার বশির আহমেদ ও সাধারন সম্পাদক রমাকান্ত তালুকদার, ২১১নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার আবুল মিয়া ও সাধারন সম্পাদক দিপক চন্দ্র সরকার, দিরাই উপজেলার ১৬৫নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার মোঃ শাহাব উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক তোবা মিয়া, ১৪২নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার মোঃ লাল মিয়া ও সাধারন সম্পাদক আইদ উল্লাহ, ১৪৮নং পিআইসির সভাপতি তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ শেখ ফরিদ ও সাধারন সম্পাদক আহমদ চৌধুরী, ১৬৮নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার প্রদীপ ভৌমিক ও সাধারন সম্পাদক স্বপন মজুমদার, ১৮২নং পিআইসির সভাপতি রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী ও সাধারন সম্পাদক চিত্তরঞ্জন সুত্রধর, জামালগঞ্জ উপজেলার ২৪৬নং পিআইসির সভাপতি বেহেলী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুল বাতেন ও সাধারন সম্পাদক রইছ উদ্দিন, ১২৩নং পিআইসির সভাপতি একই পরিষদের মেম্বার মোঃ মনু মিয়া ও সাধারন সম্পাদক সত্যজিৎ তালুকদার, ১২১নং পিআইসির সভাপতি বেহেলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অসীম চন্দ্র তালুকদার ও সাধারন সম্পাদক অখিল সরকার, ১২৪নং পিআইসির সভাপতি একই পরিষদের মেম্বার সুফিয়ান ও সাধারন সম্পাদক সসীম তালুকদার, ১২৬নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার আব্দূল হাশিম ও সাধারন সম্পাদক আতাবুর রহমান, ধর্মপাশা উপজেলার ৩৮নং পিআইসির সভাপতি পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ফেরদৌসুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক মোঃ রিপন মিয়া, ৩৯নং পিআইসির সভাপতি একই পরিষদের মেম্বার আর্শাদ মিয়া ও সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, ৪১নং পিআইসির সভাপতি জয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ খালেদুজ্জামান তালুকদার ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, ৪৩নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার ওয়াসিল আহম্মদ ও সাধারন সম্পাদক জজ মিয়া, ৪৪নং পিআইসির সভাপতি চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জাকিরুল আজাদ মান্না ও আব্দুল হাসান পারুল, ৪৫নং পিআইসির সভাপতি একই পরিষদের মেম্বার দুলাল মিয়া ও সাধারন সম্পাদক পারভেজ আহমদ, ৪৬নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার আনিসুজ্জামান ও সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান রোকন, ৪৮নং পিআইসির সভাপতি বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ মজনু মিয়া ও হোসেন আলী, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ৫৮নং পিআইসির সভাপতি জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ হাবিবুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক সোহেল তালুকদার, ৬১নং পিআইসির সভাপতি পূর্ববীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ আছাদ মিয়া ও সাধারন সম্পাদক ইসকন আলীম, ৬২নং পিআইসির সভাপতি পূর্ববীরগাও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ দিদারুল হক দিদার ও সাদারন সম্পাদক দিলদার আহমদ দিলীপ, ৬৫নং পিআইসির সভাপতি দরগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ফরিদুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক মোঃ আবু খালেদ চৌধুরী, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ৯৭নং পিআইসির সভাপতি লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মহিনূর রহমান ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল মন্নান, ৯৯নং পিআইসির সভাপতি গৌরারং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফয়জুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল মন্নান, ১০০নং পিআইসির সভাপতি চেয়ারম্যান ফুল মিয়া ও সাধারন সম্পাদক জাহানারা বেগম, দোয়ারাবাজার উপজেলার ২৩০নং পিআইসির সভাপতি দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ আবুল হোসেন ও সাধারন সম্পাদক বশির উদ্দিন, ২৩১নং পিআইসির সভাপতি পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল মালেক ও ফতেকুল ইসলাম এবং জগন্নাথপুর উপজেলার ২নং পিআইসির সভাপতি মেম্বার মোঃ সুজাত মিয়া ও সাধারন সম্পাদক ছুরত আলী প্রমুখ।

উল্লেখ্য ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জ জেলায় শতভাগ ফসলহানী হলেও এখন পর্যন্ত তথাকথিত কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইতিপূর্বে দুর্নীতি দমন কমিশন শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেও পিআইসির সাথে জড়িতরা ছিল ধরাছোয়ার বাইরে। তবে ২৪৬টি পিআইসির মধ্যে মাত্র ৩৯টি পিআইসিকে মামলার আওতায় আনা হলেও বাকী ২০৭টি পিআইসিকে বাদ দেয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন কৃষকরা। জানা যায়, জেলার মোট ৪২টি হাওরে সুনামগঞ্জ পাউবোর আওতাভূক্ত বাঁধের আয়তন হচ্ছে ১৫০০ কিলোমিটার। এরমধ্যে হাওর এলাকার আগাম বন্যা প্রতিরোধ ও নিষ্কাশন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৭টি হাওরে মোট ৪৯৪ কিলোমিটার বাঁধের কাজ করার জন্য ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। বরাদ্ধকৃত এ অর্থের ২৫% টাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে আগাম প্রদান করেছে পাউবো কর্তৃপক্ষ। ২০১৬-২০১৭ইং অর্থ বৎসরে কাজের বিনিময়ে টাকা কাবিটা প্রকল্পের আওতায় মাত্র ৮৪ কিলোমিটার বাঁধ মেরামতের জন্য বরাদ্ধ দেয়া হয় ২১ কোটি টাকা। ৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)-এর মাধ্যমে কাজ শুরু করার পুর্বেই প্রত্যেক পিআইসিকে ৫০% টাকা বরাদ্ধ দেয় পাউবো কর্তৃপক্ষ। বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা পার্সেন্টিজ পায় নির্বাহী প্রকৌশলীসহ পাউবোর ৩ জন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, ১০ জন সেকশন অফিসারসহ দুর্নীতিবাজ কর্মচারীরা। ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে ২৪৬টি পিআইসি বাঁধের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কোন পিআইসিই এ সময়ে কাজ শুরু করেনি। ফলে অকাল বন্যা, পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টির পানি অতি সহজেই কোন প্রকার বিনা বাধায় হাওরে প্রবেশ করে ২ লাখ ২০ হাজার ৮ শত ৫০ হেক্টর বোর জমির ফসল তলিয়ে নিয়ে যায়। জেলার সিভিল সোসাইটির লোকজন দাবী করছেন জেলা আইনজীবী সমিতির মামলায় মাত্র ৩৯টি পিআইসিকে আসামী করে বাকী ২০৭টিকে বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঠিকাদারকে আসামী করা হলেও তাদের ভাগীদারদের (অংশীদার) আসামী করা হয়নি। যেখানে শতভাগ দুর্নীতি হয়েছে সেখানে পিআইসির একটা বড় অংশকে মামলা থেকে বাঁদ দেয়াটা ঠিক হয়নি। সুনামগঞ্জবাসী অবিলম্বে ঠিকাদারদের দুর্নীতির সহযোগী ভাগীদার ও অপরাপর দুর্নীতিবাজ পিআইসিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পাশাপাশি তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com