বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, ২ শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, ২ শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, স্টাফ রিপোর্টার (সুনামগঞ্জ): গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জ জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যার কারণে ৬টি উপজেলার শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা দু’দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় জেলার তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী, আনোয়ারপুর, লোহাচুড়া, পাচগাঁও, নোয়াহাট, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার, পলাশ ও ফতেপুর ইউনিয়নের ফুলভরি, রায়পুর, বাদরপুর এবং জামালগঞ্জ উপজেলা, শাল্লা ও দোয়ারাবাজার ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ এই ৬টি উপজেলার ২ শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ফলে জেলার সদর উপজেলা, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর এই তিন উপজেলায় ইতিমধ্যে এক হাজার ৮ শত ৭৫ হেক্টর রোপা আমন ও সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়। একইভাবে জেলার যাদুকাটা নদী চেলা নদীসহ সবকটি ছোট বড় নদ-নদী ও হাওরের পানি কয়েক ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন শুক্রবার ৫টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা হয়েছে। একই সাথে উপজেলা গুলোতে সভা করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস জানান, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে এবং বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ সাবিরুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে হঠাৎ করে গত ২৪ ঘন্টায় অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত শুক্রবার বিকেলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায় প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট বন্যার্তদের সাহায্য-সহযোগিতার জন্য নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি যে সব এলাকায় বাড়িঘরে পানি উঠার সম্ভাবনা রয়েছে, সে জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com