শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
চান মিয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক (সুনামগঞ্জ): সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের ৩টি স্থানে ৩০ হাজার ইট দিয়ে ভাঙ্গন কবলিত সড়ক মেরামতের নামে ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি গোবিন্দগঞ্জ বটেরখালের ব্রিজ থেকে কলেজের সম্মূখের ভাঙ্গন, জাউয়া বাজার ও রাউলী নামক স্থানে ১নং ইট দিয়ে গর্ত ভরাটের নিয়ম থাকলেও বাস্তবে নি¤œমানের ইট দিয়ে চলছে রাস্তার কাজ। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসও ইকবাল আহমদ জানান, ৩টি ভাঙ্গন কবলিত স্থানে ৩০ হাজার ইট লেগেছে বলে স্বীকার করেন। এদিকে পরিবহন শ্রমিক সংগ্রাম কমিঠির সভাপতি মো. খালেদ মিয়া, শ্রমিক নেতা আলকাব আলী, রজব আলী, আব্দুল্লাহ, আব্দুল কাহার, চেরাগ আলী, সুনামগঞ্জ জেলা অটো-টেম্পু অটো-রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আফতাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইজ্জাদুর রহমান, সুহেল আহমদ, জমসেদ আলীসহ নেতৃবৃন্দ সড়ক মেরামতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করে বলেন, এসও ইকবাল ও গোলাম মাওলাকে প্রায় ১০ হাজার নি¤œমানের ইট ব্যবহার করে ২০ হাজার ইটের টাকা আত্মসাত করেন। এ ব্যাপারে সওজ বিভাগের গোবিন্দগঞ্জ অফিসের এসও ইকবাল আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ৩০ হাজার ইট এসব ভাঙ্গন স্থানে ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ সড়ক সংস্কারের নামে কত টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান। এসব বিষয় জানেন জেলা সড়ক জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী। এছাড়া প্রতিদিন ১৫ জন শ্রমিক বেতন-ভাতা উত্তোলন করলেও বাস্তবে ২/৪ জন শ্রমিক রাস্তা মেরামতে কাজ করছেন। শ্রমিক নিয়ে কাজ করাচ্ছেন অফিসের গোলাম মাওলা। রেজিস্ট্রার খাতায় ১৫ জন শ্রমিকের নাম থাকলেও বাস্তবে ৩/৪ জন শ্রমিক ভাঙ্গন কবলিত সড়ক মেরামত করছে। এদেরকে সাড়ে ৪শ’ টকা মজুরি ধার্য করলেও তাদেরকে দেয়া হচ্ছে ৩শ’ টাকা। দুপুরের নাস্তার বিল ২০ টাকা করে দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হচ্ছেনা। গত বছর সড়ক সংস্কারের নামে ২০ কোটি টাকা ফেরত চলে গেছে বলে অফিস সূত্রে জানা গেছে। শ্রমিক কালা মিয়ার সঙ্গে আলাপ কালে তিনি জানান, এসও তাদের মজুরি দিচ্ছে সাড়ে চার শত টাকা করে। এরমধ্যে দেড়শ’ টাকা কর্তন করা হয়। প্রতিদিন পাঁচজন শ্রমিক কাজ করলেও মাস্টার রোলে ২০ জন শ্রমিকের নামে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে।