মোফাজ্জল হোসেন হিরা, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেল অনুষ্টিত হয়। লিখিত সংবাদ পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও আহবায়ক প্রভাষক ইসতিয়াক হোসেন চৌধুরী স্বপন। এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আনফর আলী পীর, মো. মোশাহিদ তালুকদার ভাইস চেয়ারম্যান,ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মজুমদার, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল মতিন মির্জা, ধর্মপাশা সদর ইউপি বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল লতিফ, জয়শ্রী ইউপি সাধারন সম্পাদক এমএ কলাম আজাদ, উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ন আহবায়ক আওলাদ হোসেন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল হেকিম, কামরুল হাসান, সদর ইউপি যুবদলের সভাপতি মোজাম্মেল হক, উপজেলা ছাত্রদলের নেতা ওবায়দুল মজুমদার প্রমূখ। লিখিত বক্তব্য থেকে জানাযায়, উপজেলার সুখাইর রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের গোলকপুর বাজারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের ছাত্রগণ সমাবেশ ছিল কিন্তু দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ১/১১ অন্যতম কুশিলব সংস্কারপন্থী নেতা নজির হোসেন ছাত্রদল সমাবেশ স্থলে পাল্টা সমাবেশের আয়োজন করেন। যাা দলের নিয়ম বহির্ভূত দলীয় শৃখলা লঙ্ঘন। যার ফলে ধর্মপাশা উপজেলা প্রশাসন সভা স্থলে ১৪৪ ধারা জারী করেন। উপজেলা বিএনপি’র নেত্রীবৃন্দের সঙ্গে কোন রকম আলোচনা ছাড়াই তার ব্যক্তিগত কতিপয় সংস্কার পন্থী লোকজন নিয়ে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে বাধা প্রদান করেন। নজির হোসেন ১/১১ সময়ে জিয়া পরিবারের ধবংস সাধনের জন্য বদ্ধপরিকর ছিলেন তার ষড়যন্ত্রে বিএনপি’র নেতা কর্মীরা অনেক নির্যাতনের শিখার হয়েছেন। বিএনপি ভাঙ্গনের মূল কারিগর তিনি। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে ২০০৮ সালে দলীয় প্রতিক ধানের শীষের বিরুদ্ধে আনারস প্রতিকে নির্বাচন করেছিলেন। যা দলীয় নেতা কর্মীরা আজও ভুলেনী। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কিছুদিন পূর্বে সংস্কারপন্থীদের সাধারন ক্ষমা ঘোষণা করেন। সেই সুযোগ নিয়ে সুনামগঞ্জ ১ আসনের বিএনপি’র নির্বাচন ও রাজনীতিকে ধবংস করার জন্য মহা পরিকল্পনা নিয়ে তিনি ষড়যন্তে লিপ্ত আছেন। তার কর্মকান্ডে বিএনপি’র তৃণমূল নেতা কর্মীরা অত্যন্ত সংকিত। ব্যক্তিগত লোকজন নিয়ে দলের ক্ষতি সাধনের চেষ্টায় লিপ্ত আছেন। এহেন কর্মকান্ডে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা তাকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাক্ষান করে আসছে। তৃণমূল নেতা কমীরা মিলে দলীয় কার্যক্রম পালন করে আসছি। এর জন্য বর্তমান ফেসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের হামলা ও জেল জুলুমের শিখার হচ্ছি। আমাদের এই ত্যাগের ফলেই সুনামগঞ্জ ১ আসনের বিএনপির নির্বাচনী এলাকা শক্তিশালী ও জনপ্রিয় দূর্গে পরিণত হয়েছে। এই সময়ে নজির হোসেনর মত দূর্নীতিবাজ, নীতিহীন, ষড়যন্ত্রকারী দলে ঢুকে দলে ক্ষতির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। যা কিনা তিনি ১/১১ সময়ে দলের বিরুদ্ধে করেছেন। আমরা তৃণমূল নেতাকর্মীরা এই রকম ষড়যন্ত্রাকারীর হাত থেকে সুনামগঞ্জ ১ নির্বাচনী এলাকার বিএনপিকে রক্ষা করার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির দৃষ্টি আকর্ষন করছি।