সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৭ অপরাহ্ন
মোঃ মানিক মিয়া, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন হাওরে শুরু হচ্ছে সেচের মাধ্যমে পানি শুকিয়ে অবৈধভাবে মাছ নিধন। রোববার সকালে জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী, বেহেলী ও ফেনারবাক হাওরে গিয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নের হকিয়ার ডুবি ও কডরা বিলে অবৈধভাবে সেচ দিয়ে পানি শুকিয়ে মাছ নিধন করা হচ্ছে। এছাড়া ভীমখালী ইউনিয়নের ফেকুল মাহমুদপুরের দৌলতা নদী, বেহেলী ইউনিয়নের বেয়ালা হাওরে সেচের মাধ্যমে পানি শুকিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম আল ইমরান-এর কাছে লক্ষীপুর গ্রামে কৃষকগণ লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ফেনারবাক ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের হকিয়ার ডুবি ও কডরা বিলে অবৈধভাবে সেচ দিয়ে পানি শুকিয়ে মাছ নিধন করা হচ্ছে। ওই দুটি বিলে সরকারীভাবে কোন বন্ধবস্তো দেওয়া হয়নি, কিন্তু গ্রামের কতিপয় অসাধু কিছু লোক আবু জেহেদ, শিপন মিয়্,া মোমিন, নাজিমুল, রুবেলসহ ডিজেল চালিত মেশিন স্থাপন করে অবৈধভাবে সেচ দিয়ে মাছ নিধন করা হচ্ছে। উক্ত দুটি বিলের পানি শুকিয়ে ফেলার কারণে বোর ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। আগামী ১টি মাস ফসলী জমিতে পানি দিতে হবে নতুবা কাঙ্খিত ফসল ঘরে উঠবেনা। এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন লক্ষীপুর গ্রামের কৃষক রুবেল কাজি, টিপন, পাবেল, সাইফুল, এমরুল, দুলাল প্রমূখ।
বিশেষ সুত্রে জানা যায়, শিপন ও আবু জেহেদ হকিয়ার ডুবি ও কডরা বিল দুটি একই গ্রামের সাজুল মিয়ার কাছে জলমহালটি বিক্রয় করা হয়েছে। সেজুল মিয়া প্রতিবেদকে জানান, আমি শিপন মিয়ার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছি। ফেনারবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু তালুকদার বলেন, কৃষকরা নিজ জমিতে পানি ব্যবহার করে। ইহা কোন সরকারী জলমহালের আওতায় নহে।
এদিকে বেহেলী ইউনিয়নের বোয়ালা হাওরে স্লুইচ গেইট এর সামন থেকে বাঁধ দিয়ে সেচের মাধ্যমে পানি শুকিয়ে অবৈধভাবে মাছ নিধন করা হচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, পাশ্ববর্তী ধর্মপাশা উপজেলার জারাকোনা গ্রামের শামরুল, জিলানী বানরসীপুর গ্রামের আজিজুল অবৈধভাবে মাছ নিধন করা হচ্ছে।
অপরদিকে জামালগঞ্জ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে ভীমভালী ইউনিয়নের সেকুল মাহমুদপুর গ্রামে ধৌলতা বিলে অবৈধভাবে সেচের মাধ্যমে মাছ ধরার জন্য ডিজেল চালিত দুটি মেশিন ও ৫৮ হাজার ১১০ টাকা মাছ বিক্রয় করা হয়েছে উক্ত টাকা সোমবার সকালে সরকারী কোষাগারে জমা দেওয়া হবে বলে জানান উপজেলা মৎস্য অফিস।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সেফাউল আলম বলেন, সরকারী ইজারা কৃত বা বন্ধবস্ত যা হোক না কেন সেচ বা বাঁধ দিয়ে মাছ ধরা আইনগত ইহা সম্পূর্ণ অবৈধ। এসব কাজে যদি কেহ যুক্ত থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।